Small Industries

বিশ্বের উৎপাদনে ছোট শিল্পকে শামিলের তোড়জোড়

ছোট শিল্প মন্ত্রকের সচিব এস সি এল দাস জানান, বিশ্বের প্রথম সারির সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে উন্নতি করা প্রয়োজন। এ জন্য সরকার নিরন্তর কাজ করছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫ ০৯:৫০
Share:
দেশ জুড়ে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য ‘ডিজিটাল ফেসিলিটেশন সেন্টার’ তৈরি করলে সুবিধা হবে।

দেশ জুড়ে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য ‘ডিজিটাল ফেসিলিটেশন সেন্টার’ তৈরি করলে সুবিধা হবে। —প্রতীকী চিত্র।

বিশ্বের দরবারে দেশের ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প সংস্থার (এমএসএমই) গুরুত্ব এবং অংশীদারি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। সেই লক্ষ্যেই নীতি আয়োগের তরফে বিশেষ প্রকল্পের উপর কাজ করা হচ্ছে বলে বুধবার জানালেন কেন্দ্রের পরামর্শদাতাটির সিইও বি ভি আর সুব্রহ্মণ্যম। তাঁর দাবি, বড়র তুলনায় ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি নিয়মের বেড়াজালে অনেক বেশি আটকে যায়। এই বাধা কাটাতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স এ নিয়ে কাজ করছে।

Advertisement

সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘‘বেশ কিছু বড় ফোন তৈরির সংস্থা ভারতে কারখানা গড়েছে। যা দেশের পক্ষে ভাল। কিন্তু কাঁচামালের সিংহভাগই তারা আমদানি করায় উপকৃত হচ্ছে না স্থানীয় সংস্থাগুলি। এ নিয়েই উপরেই কাজ করছে নীতি আয়োগ। লক্ষ্য, বড় সংস্থাগুলিকে যাতে দেশীয় ছোট শিল্প পণ্য সরবরাহ করতে পারে। অর্থাৎ তারা যাতে বিশ্বব্যাপী ভ্যালু চেন-এর অংশ হতে পারে।’’ উল্লেখ্য, ‘গ্লোবাল ভ্যালু চেন’ বলতে বোঝায়, বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে পণ্য তৈরি ও বাজারে আনতে উন্নত দেশগুলি নির্ভর করে উন্নয়নশীল দেশের বিভিন্ন সংস্থার উপরে। যার অন্যতম অংশ কাঁচামাল কেনাও। তাঁর দাবি, পরিকল্পনা সফল ভাবে বাস্তবায়িত হলে লাভবান হবে ছোট সংস্থাগুলি। এর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ও পণ্যের মানের প্রয়োজন।

আয়োগ কর্তার আরও দাবি, দেশ জুড়ে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য ‘ডিজিটাল ফেসিলিটেশন সেন্টার’ তৈরি করলে সুবিধা হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্মী প্রশিক্ষণ, গবেষণা, উদ্ভাবনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক কাজ করতে পারবে তারা। যা বিকশিত ভারত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

Advertisement

ছোট শিল্প মন্ত্রকের সচিব এস সি এল দাস জানান, বিশ্বের প্রথম সারির সংস্থাগুলির সঙ্গে পাল্লা দিতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে উন্নতি করা প্রয়োজন। এ জন্য সরকার নিরন্তর কাজ করছে। দেশে বিক্রির পাশাপাশি নজর দেওয়া হচ্ছে বিদেশে রফতানিতে। মন্ত্রকের দাবি, ভারতে ৬ কোটির বেশি নথিভুক্ত এমএসএমই আছে। ২০২৯-এর মধ্যে তা ৯ কোটি ছোঁবে। তারা যদি বিশ্বের জোগান শৃঙ্খলের অংশ হতে পারে, তা হলে আখেরে লাভ দেশেরই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement