ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা মতো আগামিকাল থেকে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের উপরে বসছে পাল্টা আমদানি শুল্ক। তাদের চাপে রাখাই যার লক্ষ্য। বিশেষজ্ঞ মহলের সতর্কবার্তা, ফল হচ্ছে উল্টো। আদতে বিরাট বিপর্যয়ের মুখে খোদ আমেরিকাই। মন্দায় পড়ার আশঙ্কা। যা আছড়ে পড়বে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে। ট্রাম্প অবশ্য এ সবে কান দিতে নারাজ। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এখন সুদের হার গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতিতে গতি আনতে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ তা কমায় কি না, সেটাই দেখার।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দাবি, আমেরিকায় দেউলিয়া ঘোষণার সংখ্যা বেড়েছে। বিপুল সংখ্যক সরকারি কর্মী ছাঁটাই করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। চাহিদা ঝিমিয়ে। সাধারণ মানুষ তেমন ভাবে ছুটি বা বিনোদনের পিছনে অর্থ খরচ করছেন না। তার উপরে আমদানি পণ্যে শুল্ক বাড়ায় মূল্যবৃদ্ধি চড়ার আশঙ্কা। পাল্টা শুল্কে মার খেতে পারে রফতানিও। কানাডার মতো যে পড়শই দেশের পর্যটকদের উপরে আমেরিকার অর্থনীতির একাংশ নির্ভরশীল, শুল্ক নিয়ে টানাপড়েনে সেখান থেকে পর্যটক আসা প্রায় ৭০% কমেছে। সব মিলিয়ে মন্দার আশঙ্কা গত সপ্তাহের ৩৫% থেকে বাড়িয়ে এ সপ্তাহে ৪৫% করেছে উপদেষ্টা গোল্ডম্যান স্যাক্স। জেপি মর্গ্যান জানিয়েছে, বছর শেষে মূল্যবৃদ্ধির হার এখনকার ২.৮% থেকে বেড়ে পৌঁছতে পারে ৪.৪ শতাংশে। তথ্য-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণকারী ফেডারাল রিজ়ার্ভ অ্যাটলান্টার পূর্বাভাস, জানুয়ারি-মার্চে জিডিপি কমতে পারে ০.৮%।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আর্থিক বৃদ্ধি ঝিমোলে সুদ কমানো জরুরি। বিশেষত ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েলও যেহেতু মন্দার আশঙ্কার কথা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে এ বছর তিন বার সুদ ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে