প্রতীকী ছবি।
তেল ও টাকার দর নিয়ে নাজেহাল হওয়ার মধ্যেই কেন্দ্রের কাছে কিছুটা সুখবর বয়ে নিয়ে এল বুধবার প্রকাশিত একগুচ্ছ আর্থিক পরিসংখ্যান।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, জুলাইয়ে শিল্পবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৬.৬%। গত বছর একই সময়ে জিএসটি চালুর পরে যা বেড়েছিল মাত্র ১%। জুনের (৬.৮%) তুলনায় তা অবশ্য সামান্য কম। অন্য দিকে, অগস্টে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ছুঁয়েছে ৩.৬৯%। যা গত দশ মাসে সবচেয়ে কম।
তার উপরে পেট্রোপণ্যের উপর নির্ভর করে অগস্টে রফতানি বেড়েছে ১৯.২১%। হয়েছে ২,৭৮৪ কোটি ডলার। আমদানি ২৫.৪১% বেড়ে ৪,৫২৪ কোটিতে পৌঁছেছে। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১,৭৪০ কোটি। জুলাইয়ের পাঁচ বছরের রেকর্ড ঘাটতির তুলনায় যা খানিকটা কম।
মূলত ফল, আনাজ-সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমার হাত ধরেই মূল্যবৃদ্ধি কমেছে বলে জানিয়েছে পরিসংখ্যান। তবে গত মাসে সামান্য বেড়েছে তেল খাতে খরচ। উল্লেখ্য, জুলাইয়ে মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৪.১৭%। আর গত বছর অগস্টে ৩.২৮%।
১৬ অগস্টের পর থেকে প্রায় টানা বেড়ে চলেছে পেট্রল, ডিজেল। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পড়ছে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দর। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এতে মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা ছিল। তা না হওয়ায় মোদী সরকার স্বস্তি পাবে। এ দিকে উৎপাদন শিল্প, মূলধনী পণ্য ও ভোগ্যপণ্য উৎপাদন বাড়ায় জুলাইয়ে শিল্পে গতি এসেছে। যা কেন্দ্রকে স্বস্তি দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
তার উপরে ডলারে টাকার পতন (বুধবার অবশ্য তা বেড়েছে) রুখতে হিমসিম খাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি ৫ অক্টোবরের ঋণনীতির আগে তাদেরও কিছুটা সুবিধা করে দেবে বলে মত অনেকের।
টুইটে আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গের দাবি, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি মাত্র ০.২৯% হওয়ায় স্বস্তি পাবেন দরিদ্ররা। এতে দেশে অর্থনীতি শক্ত ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে থাকার ধারা বহাল থাকল বলেও তাঁর দাবি।