—প্রতীকী চিত্র।
এখনও গৃহস্থের হাত পুড়ছে খাবারের দামে। পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক, তা ফের স্পষ্ট হল মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের থালি-সমীক্ষায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, গত মাসে শুধুমাত্র আনাজই নিরামিষ থালির দামকে জুনের তুলনায় ১১% উপরে ঠেলে তুলেছে। নিস্তার পাননি আমিষভোজীরাও। পাতে মাংস দিতে থালির দাম জুলাইয়ে তার আগের মাসের থেকে প্রায় ৬% বেশি পড়েছে।
প্রতি মাসে ‘ভাত-রুটির হার’ সমীক্ষা চালায় ক্রিসিল। মঙ্গলবার প্রকাশিত সেই রিপোর্টেই দেখা গিয়েছে, গত মাসে নিরামিষ থালির খরচ বেড়ে হয়েছে ৩২.৬ টাকা। জুনে ছিল ২৯.৪ টাকা। এই পাতে মূলত ভাত, রুটি, পেঁয়াজ-টোম্যাটো-আলু সহযোগে তৈরি আনাজ, ডাল, দই এবং স্যালাড থাকে। রিপোর্ট বলছে, আনাজের দাম বৃদ্ধিই এই থালি রান্নার খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে চড়েছে টোম্যাটো।
অন্য দিকে নিরামিষ থালির থেকে কম হলেও, দাম বেড়েছে আমিষ থালিরও। গত জুনে ছিল ৫৮ টাকা। জুলাইয়ে বেড়ে হয়েছে ৬১.৪ টাকা। এই থালিতে ডালের বদলে থাকে মাংস। থালির অর্ধেক খরচই তার।
তবে গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে নিরামিষ এবং আমিষ, দুই থালিরই দাম এ বার জুলাই কিছুটা কম। নিরামিষের ক্ষেত্রে কম ৪%। গত বছর জুলাইয়ে তা ছিল ৩৪.১ টাকা। আর আমিষের দাম আগের বারের ৬৭.৮ টাকা থেকে কম প্রায় ৯%। কারণ মুরগির মাংসের দাম গত বছরের থেকে ১১% কমে গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত মাসে টোম্যাটোর দাম ছিল কেজি প্রতি ৬৬ টাকা। যা যথেষ্ট বেশি বলেই মনে করছেন সকলে। তবে আগের বছরের একই সময়ের ১১০ টাকার থেকে বেশ কম। পেঁয়াজের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ৬৫%, আলুর ৫৫%।