—ফাইল চিত্র
বিরোধীরা বারবার দাবি করছে, মোদী সরকারের আমলে উৎপাদন শুল্কের বিপুল বৃদ্ধির জেরে দেশের বাজারে চড়চড় করে বাড়ছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। অথচ কেন্দ্র শুল্ক হ্রাসের দাবিতে কানই দিচ্ছে না। সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে সোমবার তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি, আদতে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির ফল ভুগতে হচ্ছে এ দেশের মানুষকে। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কয়েক দিন আগে খোদ প্রধানই স্বীকার করে নিয়েছিলেন, পেট্রল-ডিজেলের বর্ধিত শুল্কের টাকাতেই ত্রাণ প্রকল্প তৈরি করেছে কেন্দ্র। উঠেছে পুরনো প্রশ্নও। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কম থাকার সময়ে তার সুবিধা পাননি কেন দেশের মানুষ?
এ দিকে, সাময়িক স্থগিত থাকার পরে তেলের দর যথারীতি উল্কার গতিতে ছুটছে। আজ, মঙ্গলবার কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু পেট্রল ও ডিজেলের দাম পড়বে যথাক্রমে ৮৬.৬৩ এবং ৭৮.৯৭ টাকা। দাম বেড়েছে যথাক্রমে ২৪ এবং ২৫ পয়সা।
বিরোধীদের বক্তব্য, ২০১৪ সালের মে মাসে প্রতি লিটার পেট্রল ও ডিজেলের উৎপাদন শুল্ক ছিল যথাক্রমে ৯.২০ টাকা এবং ৩.৪৬ টাকা। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে সেই শুল্ক যথাক্রমে আরও ২৩.৭৮ টাকা ও ২৮.৩৭ টাকা বাড়িয়েছে।
এ দিন সেই শুল্ক নিয়ে উচ্চবাচ্য না করে প্রধানের বক্তব্য, অতিমারির সময়ে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলি হয় উৎপাদন বন্ধ করেছে নয়তো ছাঁটাই করেছে। তার ফলে অশোধিত তেলের দাম বেড়েছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘কয়েক মাস আগেও অশোধিত তেলের দাম ছিল ৩৫-৩৮ ডলার (ব্যারেল প্রতি)। এখন বেড়ে হয়েছে ৫৪-৫৫ ডলার।’’ এই প্রেক্ষিতেও অবশ্য প্রশ্ন উঠছে, দাম কম বা আরও তলানিতে থাকার সময়ে কেন তার সুফল মেলেনি ভারতে?
প্রধান শুনিয়েছেন, জ্বালানির চাহিদায় বিশ্বে ভারত তৃতীয়। চাহিদা আরও বাড়ছে। তার উপরে দেশে জ্বালানির ৮০% আমদানি করতে হয়। যদিও সেই জ্বালানির জোগান যে রাজকোষ ভরানোরও অন্যতম উৎস, সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, বৈদ্যুতিক গাড়ি, সৌর-শক্তি, ইথানলের ব্যবহার বাড়লে সমস্যা কমবে। তবে সেই বিকল্প জোরদার না হওয়া পর্যন্ত শুল্ক হ্রাসের আশ্বাস দেননি তিনি।