—প্রতীকী ছবি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক নীতিতে রক্তাক্ত আমেরিকার শেয়ার বাজার। প্রভাব পড়েছে ভারতীয় স্টকের সূচকে। আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, এর জেরে তথ্যপ্রযুক্তি, গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থাগুলির লগ্নিকারীদের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যেই টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (টিসিএস), ইনফোসিস, টাটা মোটর্স, সান ফার্মা এবং সিপলার মতো কোম্পানির শেয়ারে দর অনেকটা পড়ে গিয়েছে।
শুক্রবার, ৪ এপ্রিল টিসিএসের স্টকে প্রায় তিন শতাংশ পতন দেখা গিয়েছে। টাটা মোটর্সের শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় সাড়ে ছ’শতাংশ। বিশ্লেষকদের দাবি, ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে টাটাদের তৈরি জাগুয়ার ল্যান্ড-রোভারের দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে এই গাড়িগুলির বিক্রি কমার আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রভাবেই টাটা মোটর্সের স্টকের দর হু-হু করে কমছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ দিনে টাটাদের গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থার শেয়ারের দাম হ্রাস পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। বর্তমানে এর স্টকের দর ৬১২-৬১৩ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের অবস্থাও বেহাল। নারায়ণ মূর্তির সংস্থার শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ। বর্তমানে এর এক একটি স্টকের দর ১,৪৫০ টাকার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির রফতানি আয় পুরোপুরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল। আমেরিকা থেকে এই বাবদ ৭০ শতাংশ অর্থ রোজগার করে থাকে তারা। বিশ্লেষকদের দাবি, তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবামূলক বিষয় হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির শেয়ার সূচক দীর্ঘ সময় নিম্নমুখী থাকবে, এমনটা নয়। টিসিএস বা ইনফোসিসের উপর ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক নীতির সাময়িক প্রভাব পড়েছে।
ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থাগুলির মধ্যে সান ফার্মার স্টকের দর নেমেছে প্রায় চার শতাংশ। সিপলারের শেয়ারে আবার সাড়ে পাঁচ শতাংশের বেশি পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল অ্যালুমিনিয়াম এবং টাটা স্টিলের শেয়ার পাঁচ থেকে ছ’শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)