হাতে বাড়তি মুনাফা আসা সত্ত্বেও বহু সংস্থা শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিতে চায় না বলে অভিযোগ বহু দিনের। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার কড়া হল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। বাজারে শেয়ার মূলধনের ভিত্তিতে প্রথম ৫০০টি সংস্থার জন্য ডিভিডেন্ড বণ্টন নীতি তৈরি বাধ্যতামূলক করল তারা।
এই নীতি তৈরি করা মানেই ডিভিডেন্ড দিতে বাধ্য থাকা নয়। তবে এর সাহায্যে কোন সংস্থার শেয়ার কিনলে কতখানি রিটার্ন আশা করা যেতে পারে, তার ছবি পাবেন লগ্নিকারীরা। সুবিধা হবে শেয়ার বাছতে।
সেবির নির্দেশ, ওই নীতি সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে তাদের বার্ষিক রিপোর্টের আওতায়। তাতে জানাতে হবে— l আর্থিক অবস্থা l কী কী কারণে শেয়ারহোল্ডাররা ডিভিডেন্ড আশা করতে পারেন অথবা পারেন না l বাড়তি মুনাফা কী ভাবে ব্যবহার করা হবে ইত্যাদি।
বর্তমানে সব সংস্থার ক্ষেত্রেই আগের ৫ অর্থবর্ষের ডিভিডেন্ড নীতি ও তার হার প্রকাশের নিয়ম চালু রয়েছে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। সেবির দাবি, এখন ৫০০ সংস্থার জন্য নতুন বিধি চালু হলেও, আগামী দিনে ডিভিডেন্ড বণ্টন নীতি তৈরির বাধ্যবাধকতা কার্যকর হবে সব সংস্থার জন্যই।