—প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হারে লোডশেডিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ বার তাই নিয়ে বাদানুবাদে জড়াল কেন্দ্র ও রাজ্য।
রবিবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহের মন্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে দিনে প্রায় ৮০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা। কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্থা দেয় আরও ২৬০০ মেগাওয়াট। ফলে রাজ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কথা নয়। কলকাতায় বিশ্বকর্মা প্রকল্পের প্রচার অনুষ্ঠানের ফাঁকে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দেশে দু’তিনটি রাজ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ তার একটি। কেন লোডশেডিং হচ্ছে রাজ্যকেই জিজ্ঞাসা করুন।’’ এর পাল্টা হিসেবে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের জবাব, ‘‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে পশ্চিমবঙ্গকে ওঁর মন্ত্রকই সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে। উনি বরং অন্য রাজ্যে নজর দিন।’’
বাদানুবাদের এখানেই শেষ নয়। সিংহের দাবি, কেন্দ্রের দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনার কিছু অংশ রাজ্য রূপায়ণ করলেও, পিএম কুসুম কার্যকর করেনি। ডিজ়েলের বদলে কৃষকেরা সৌর বিদ্যুতের পাম্প ব্যবহার করলে অতিরিক্ত খরচের একাংশ এই প্রকল্পে ভর্তুকি মেলে। অরূপের পাল্টা, ‘‘উনি কী বলেছেন জানি না। কেন্দ্রের অধিকাংশ পদক্ষেপই জনবিরোধী। আমাদের সরকার সেগুলি কার্যকর করবে না।’’
সিংহ জানান, বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে কেন্দ্র গ্রিন হাইড্রোজেন নীতি তৈরি করেছে। আলাদা ভাবে নীতি আনছে বিভিন্ন রাজ্য। দিচ্ছে আর্থিক সুবিধা। তিনি বলেন, ‘‘আপনাদের পড়শি রাজ্য ওড়িশা ভাল কাজ করছে। এখানে কী হচ্ছে জানি না।’’ সম্প্রতি বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছিল, দুর্গাপুর প্রজেক্টসের জমিতে একটি গ্রিন হাইড্রোজেন প্রকল্প গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।