ডাক বিভাগকে আর্থিক ভাবে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে পার্সেল পরিষেবায় জোর বাড়ানোর কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। —ফাইল চিত্র।
আয় বাড়িয়ে ডাক বিভাগের ভর্তুকি নির্ভরতা কমানোর পরিকল্পনার কথা অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। আজ এক কর্মসূচিতে তিনি জানান, এই লক্ষ্যে ব্যবসায়িক কৌশল পুনর্গঠন শুরু হয়েছে। তার অঙ্গ হিসেবে বিভাগের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। ‘ডাক সেবা জনসেবা’ স্লোগানকে সামনে রেখে এগোচ্ছে সরকার।
ডাক বিভাগকে আর্থিক ভাবে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে পার্সেল পরিষেবায় জোর বাড়ানোর কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। একই লক্ষ্যে সিন্ধিয়া জানিয়েছেন ডাক, জীবন বিমা এবং গ্রামীণ ডাক জীবন বিমায় জোর দেওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পণ্য পরিবহণ (লজিস্টিক্স) খরচকে জিডিপির নিরিখে ১০ শতাংশের নীচে নামাতে চাইছে কেন্দ্র। তার জন্য ডাক বিভাগকে আরও সক্রিয় করার চেষ্টা।
পাশাপাশি, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সিন্ধিয়া জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নতুন ৬০০টি পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (পিওপিএসকে) তৈরির জন্য ডাক বিভাগ এবং বিদেশ মন্ত্রক চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে। এখন পিওপিএসকে-র সংখ্যা ৪৪২। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে তা ১০০০ পার করবে। পাসপোর্ট পরিষেবার সুবিধা পৌঁছবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের আরও বেশি মানুষের কাছে। ২০১৭ সালে পিওপিএসকে চালু করে কেন্দ্র। গ্রামাঞ্চলে পাসপোর্ট পরিষেবা বেশি করে পৌঁছে দেওয়াই যার উদ্দেশ্য।