—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচন, গাড়ির বাজার এবং চাষের মরসুম— এই তিনের উপরে নির্ভর করে দেশজুড়ে জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াই দস্তুর। অতীতের অভিজ্ঞতা তেমনই। কিন্তু বাস্তবে ডিজ়েলের মতো বহুল ব্যবহৃত পরিবহণ জ্বালানির বিক্রি মাসের পর মাস কমে চলেছে। পেট্রলের বিক্রিও কার্যত থমকে। নির্বাচনের আগে তেলের দাম লিটার প্রতি ২ টাকা করে কমাও তাকে টেনে তুলতে পারেনি। তবে কি আর্থিক কর্মকাণ্ড গতি হারাচ্ছে? সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, দেশের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে যাত্রী কমায় যানবাহনের চলাচলও কমেছে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে তেলের চাহিদায়।
তিন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার মিলিত তথ্য অনুযায়ী, ১-১৫ জুন সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জ্বালানি ডিজ়েল বিক্রি হয়েছে ৩৯.৫ লক্ষ টন। যা এক বছর আগের তুলনায় ৩.৯% কম। শুধু তা-ই নয়, মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসেও পণ্যটির বিক্রি যথাক্রমে ২.৭%, ২.৩% এবং ১.১% কমেছিল। আলোচ্য সময়ে পেট্রল বিক্রি হয়েছে ১৪.২ লক্ষ টন। গত বছরের একই সময়ে তা ১৪.১ লক্ষ ছিল। মে মাসের প্রথমার্ধের থেকে তা ৩.৬ কমেছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, পরিবহণ ব্যবস্থায় ডিজ়েলের অংশীদারি ৭০%। আর গোটা জ্বালানির বাজারে ৪০%। তীব্র তাপপ্রবাহে পরিবহণের গতিবিধি কমাই সামগ্রিক চাহিদা হ্রাসের কারণ। ভাল বর্ষা হলে পরিস্থিতি বদলাবে।