Gold Price in Kolkata

গয়না কিনতে ঋণ, কিস্তি চালুর দাবি

অশোধিত সোনা আমদানি করে তা শোধন করে বিক্রি করতে শোধনাগারগুলির ক্ষতি হচ্ছে, অভিযোগ অ্যাসোসিয়েশন অব গোল্ড রিফাইনারিজ় অ্যান্ড মিনটসের সম্পাদক হর্ষদ আজমেরার।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৫:১৯
Share:

১০ বছরে সোনার আমদানি শুল্ক ২% থেকে বেড়ে ১৫% হয়েছে। তা কিনতে ব্যবসায়ী দেন ৩% জিএসটি। প্রতীকী ছবি।

রাত পোহালেই বাজেট। তার আগে স্বর্ণ শিল্পমহল জানাল, তাদের বাঁচাতে হলে সোনায় আমদানি শুল্ক কমাতেই হবে সরকারকে। না হলে চোরাচালান রোখা যাবে না। গয়নার চাহিদা বাড়াতে ক্রেতার জন্য জিএসটি-র হার (৩%) কমানোর পাশাপাশি ঋণের সুবিধা চালুর আর্জিও জানিয়েছে তারা।

Advertisement

স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি সমর দে-র দাবি, ‘‘টিভি-ফ্রিজ় কিনতে ধার নেওয়া যায়। কিন্তু সোনায় নয়। কেন্দ্রকে বলেছি, ঋণ পেলে হাতে বাড়তি নগদ না থাকলেও অনেকে গয়না কিনবেন। ধার শোধের মাসিক কিস্তি ক্রেতার চিন্তা কমাবে।’’

পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দাবি, ১০ বছরে সোনার আমদানি শুল্ক ২% থেকে বেড়ে ১৫% হয়েছে। তা কিনতে ব্যবসায়ী দেন ৩% জিএসটি। ফলে চোরাচালানের সোনা ১৮% সস্তা পড়ে। সমরবাবু বলেন, “গত বছর ১৫০-২০০ টন চোরাপথে এসেছে। তার গয়নাও সস্তা। সৎ ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছেন।’’ অর্থমন্ত্রীকে তাই শুল্ক কমানোর আর্জি জানিয়েছে স্বর্ণ শিল্পের সংগঠনগুলি, দাবি অঞ্জলি জুয়েলার্সের ডিরেক্টর অনর্ঘ উত্তীয় চৌধুরীর।

Advertisement

গয়না রফতানিকারীদের সংগঠন জিজেইপিসি-র পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান পঙ্কজ পারেখ বলেন, ‘‘আমাদেরও দাবি শুল্ক কমুক। কারণ রফতানির জন্য আমদানিকৃত সোনায় শুল্ক লাগে না। কিন্তু রফতানির জন্যই তা ব্যবহার হচ্ছে, তা নিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত ব্যাঙ্কে(আমদানিতে জড়িত) টাকা রাখতে হয় রফতানিকারীদের। ফলে কার্যকরী মূলধনে টান পড়ে।’’ তাঁর দাবি, এক দফায় গড়ে ১০০ কেজি সোনা আমদানি হয়। বছরে কয়েক দফা কিনতে ‘এক্সপোর্ট পারফরম্যান্স মার্জিন’খাতে গড়ে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে রাখতে হয়। বিকল্প হিসাবে তার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি খাতে বাড়তি খরচ আছে।

এ দিকে, অশোধিত সোনা আমদানি করে তা শোধন করে বিক্রি করতে শোধনাগারগুলির ক্ষতি হচ্ছে, অভিযোগ অ্যাসোসিয়েশন অব গোল্ড রিফাইনারিজ় অ্যান্ড মিনটসের সম্পাদক হর্ষদ আজমেরার। তিনি বলেন, “অশোধিত সোনায় ১৪.৩৫%। শোধন করা সোনার আমদানি শুল্ক ১৫%। এই ফারাক কমপক্ষে ১.৬৫% করার আর্জি জানিয়েছি। না হলে বহু শোধনাগারের টিকে থাকাই মুশকিল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement