টিকিটের টাকা ফেরাতে কী করছে জেট, প্রশ্ন কোর্টের

জেট সূত্রের খবর, যাত্রীদের টিকিটের টাকা তখনই ফেরত দেওয়া সম্ভব, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যখন তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৫০০ কোটি টাকা দেবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০১৯ ০১:২১
Share:

মুম্বই বিমানবন্দরে প্রতিবাদে শামিল এক জেট কর্মীর সন্তানও। ছবি: এপি।

আবার ধাক্কা জেট এয়ারওয়েজে!

Advertisement

বাতিল হয়ে যাওয়া উড়ানের যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে জেট কী চিন্তাভাবনা করছে, তাদের কাছে তা জানতে চাইল দিল্লি হাইকোর্ট। এই বিষয়ে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ-র হলফনামাও চাওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন ছুটির পরে, ১৬ জুলাই ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে বুধবার জানান দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রাজেন্দ্র মেনন এবং বিচারপতি এজে ভামবানি।

জেট সূত্রের খবর, যাত্রীদের টিকিটের টাকা তখনই ফেরত দেওয়া সম্ভব, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যখন তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৫০০ কোটি টাকা দেবে। সমাজকর্মী বেজন মিশ্র সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলা ঠুকে অভিযোগ করেন, দুম করে জেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য যাত্রী টিকিটের টাকা ফেরত পাননি। উড়ান যে বাতিল হয়ে যাবে, তা তাঁদের আগে থেকে জানানো হয়নি। এ দিন সেই মামলারই শুনানি হয়। মামলায় দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ এবং যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে অথবা বিকল্প উড়ানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এ বিষয়ে বিমান মন্ত্রক ও ডিজিসিএ-র সক্রিয় হওয়া উচিত। অভিযোগ করা হয়েছে, যে-সব যাত্রী জেটের টিকিট কেটেছিলেন, উড়ান বাতিলের পরে তাঁরা টাকা ফেরত পাননি। বরং শেষ মুহূর্তে অন্য উড়ান সংস্থার টিকিট কাটতে গিয়ে প্রচুর টাকা দিতে হয়েছে। অভিযোগ, মওকা বুঝে শেষ মুহূর্তে চড়া দর হেঁকেছে বেশ কিছু উড়ান সংস্থা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি জেটকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে দখল করে রাখা জায়গা তাড়াতাড়ি খালি করে দিতে হবে। কলকাতা এবং অন্যান্য বিমানবন্দরে জেটের চেক-ইন কাউন্টারগুলিও অন্য উড়ান সংস্থাকে দেওয়া হবে। এ বার এল যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরতের চাপ।

এর মধ্যেই জেটের পাইলটদের সংগঠন ন্যাশনাল এভিয়েটর্স গিল্ড (ন্যাগ)-এর তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠি সামনে এসেছে। কেন জেটের এমন হাল হল, কে বা কারা জেটের এই আর্থিক সঙ্কটের জন্য দায়ী— প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন পাইলটেরা। অনুরোধ করা হয়েছে, সেই তদন্ত শেষের আগে বিভিন্ন বিমানবন্দরে জেটের হাতে থাকা উড়ান স্লট যেন অন্য সংস্থাকে দেওয়া না-হয় এবং জেটের বসে থাকা বিমানগুলির রেজিস্ট্রেশন যাতে বাতিল করা না-হয়। স্টেট ব্যাঙ্ক যাতে অবিলম্বে জেটের কর্মীদের অন্তত এক মাসের বেতনের টাকা দেয়, তার ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। ২২ হাজার কর্মীর পরিবারের দেড় লক্ষ সদস্য অনটনে দিন কাটাচ্ছেন বলেও পাইলট সংগঠনের অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement