পিছুটান সেই দার্জিলিং। আর তা নিয়েই শনিবার রাতে নতুন রফতানি বাজারের খোঁজে আমেরিকা ও চিলি পাড়ি দিল টি বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা- সহ ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন-এর (আইটিএ) এক প্রতিনিধিদল। তাঁদের আশা, দার্জিলিঙের সমস্যাকে সাময়িক হিসেবেই দেখবেন সেই সব দেশের সম্ভাব্য ক্রেতারা।
রাশিয়া, ইরান, ইউরোপের পাশাপাশি আমেরিকাও ভারতীয় চায়ের গুরুত্বপূর্ণ রফতানি বাজার। কিন্তু আইটিএ-র বক্তব্য, পশ্চিম এশিয়ায় রাজনৈতিক নানা সমস্যা, ইরানে চা রফতানির পাওনা নিয়ে সমস্যা ইত্যাদির জন্য নতুন বাজার খোঁজা প্রয়োজন। সেই সূত্রেই এ বার তাদের আমেরিকা ও চিলি সফর। ওই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রভাব বেজবরুয়া, ডেপুটি চেয়ারম্যান সন্তোষ ষড়ঙ্গী, আইটিএ-র চেয়ারম্যান আজম মোনেম প্রমুখ। আমেরিকায় অর্থোডক্স ও সিটিসি, দু’ধরনের চায়েরই চাহিদা থাকলেও চিলি পুরোপুরি অর্থোডক্সের বাজার। কিন্তু সেখানে কখনওই যায়নি ভারতীয় চা। সে দেশে আধিপত্য ছিল শ্রীলঙ্কা, আর্জেন্তিনার। আমেরিকার সঙ্গে তাই পুরনো সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার সঙ্গে এ বার চিলির পেয়ালাতেও হাজির হতে চায় ভারতীয় চা শিল্প।
সফরে রওনা দেওয়ার প্রাক্কালে এ দিন আইটিএ-র সেক্রেটারি সুজিত পাত্র জানান, চিলি ও অন্যান্য অর্থোডক্স চায়ের বাজারে অসম ও দক্ষিণ ভারতের পাশাপাশি দার্জিলিং চা-কেও তুলে ধরা তাঁদের লক্ষ্য। কিন্তু পাহাড়ের গোলমালে এ বার যেখানে ভিন্ দেশে পাড়িই দিতে পারেনি দার্জিলিং চা, কী ভাবে তাঁরা এর প্রচার চালাবেন?
ভিন্ দেশের ক্রেতাদের সেই আশঙ্কার কথা মানছেন সুজিতবাবু। তবে তাঁর পাল্টা দাবি, ক্ষোভ-বিক্ষোভের সমস্যা বিশ্বের সর্বত্র। তাঁর কথায়, ‘‘পাহাড়ের আন্দোলনকারী-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আবেদন জানিয়েছি। আশা করি, সমস্যা দীর্ঘায়িত হবে না। সাময়িক গোলমাল হিসেবেই আমরা তুলে ধরতে পারব একে।’’ তাঁর আশা, এই সমস্যা মিটে যাবে। এবং আগামী দিনে নতুন রফতানি বাজারের সন্ধান পাবে দার্জিলিং চা-ও।