শনিবার থেকে বন্ধ অধিকাংশ পে-চ্যানেল। প্রতীকী ছবি।
রাজ্য-সহ দেশের কিছু অংশে কেব্ল টিভির জট কাটল না সোমবারও। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বহু মানুষ পছন্দের পে-চ্যানেল (দাম দিয়ে দেখতে হয়) দেখতে না পেয়ে ক্ষুব্ধ। কবে থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তার কোনও ইঙ্গিত নেই।
কেব্ল টিভির নতুন মাসুল নীতি ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন চুক্তি প্রস্তাবে বহু সংস্থা চ্যানেলের দাম বাড়িয়েছে, এই অভিযোগে তাতে সায় দেয়নি কিছু মাল্টি সার্ভিস অপারেটর (এমএসও)। ফলে শনিবার থেকে বন্ধ অধিকাংশ পে-চ্যানেল। এমএসওদের সংগঠন এআইডিসিএফ এ নিয়ে কেরল-সহ বিভিন্ন হাই কোর্টে মামলা করেছে। তবে চ্যানেল সংস্থাগুলির সংগঠন আইবিডিএফ আঙুল তুলেছে বিক্ষুব্ধ এমএসও-দের দিকে।
অন্যতম এমএসও জিটিপিএল-কেসিবিপিএলের কর্তা বিজয় আগরওয়ালের দাবি, নতুন মাসুলে খরচ বাড়লে বেশি চাপে পড়বেন গ্রামের মানুষ। আর আইবিডিএফ-এর অভিযোগ, আসলে এমএসও-রা প্রাপ্য বাড়াতে চাইছেন। আলাদা ভাবে (আলা-কার্ট) বা একাধিক চ্যানেলের ‘বোকে’ নিতেই পারেন গ্রাহক। চাপানউতোরের মাঝে পড়ে নাজেহাল স্থানীয় কেব্ল অপারেটররা। দ্রুত চ্যানেল প্রদর্শনের দাবিতে এ দিন কলকাতায় তিনটি এমএসও-র সদর দফতরে যান তাঁদের একাংশ। বক্তব্য, ক্ষুব্ধ গ্রাহকের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন তাঁরাই।