সাধের জনধনেও দুর্নীতির অভিযোগ

নোটবন্দির পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘প্রিয়’ জন-ধন প্রকল্পকে নিশানা করেছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগিয়ে আসলে কালো টাকাকে সাদা করা হচ্ছে। এ বার ফের প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের সেই প্রকল্পে দুর্নীতির গন্ধ পেল কংগ্রেস। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৩৩
Share:

পি চিদম্বরম, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। —ফাইল চিত্র।

নোটবন্দির পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘প্রিয়’ জন-ধন প্রকল্পকে নিশানা করেছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই অ্যাকাউন্টগুলিকে কাজে লাগিয়ে আসলে কালো টাকাকে সাদা করা হচ্ছে। এ বার ফের প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের সেই প্রকল্পে দুর্নীতির গন্ধ পেল কংগ্রেস।

Advertisement

শুক্রবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময়ে ৮ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জনধন অ্যাকাউন্টে ৪২,০০০ কোটি টাকারও বেশি জমা পড়েছিল। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সে সময় আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টিকে ‘সময় সাপেক্ষ’ বলে কোনও তদন্তই করেননি অর্থ সচিব।

পরিসংখ্যান দিয়ে চিদম্বরম আরও বলেন, ইউপিএ আমলে ২০১০-১৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ব্যাঙ্কের গ্রামীণ শাখা খোলা হয়েছিল প্রায় ১৩ হাজার। মোদী সরকারের চার বছরে সাড়ে চার হাজার। ইউপিএ-র শেষ চার বছরে গ্রামে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি নিয়োগ হয়েছিল ৩ লক্ষের বেশি। মোদী জমানায় দু’লক্ষের কম। ২০১৪ সালের আগেই ২৫ কোটি খাতা খোলা হয়েছিল বলেও তাঁর দাবি।

Advertisement

বিভিন্ন সমীক্ষা বলছে, পাঁচটির মধ্যে একটি জনধন অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয়। ৩৩% এমন ব্যক্তির খাতা খোলা হয়েছে, যাঁদের আগেই অ্যাকাউন্ট ছিল। বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, গত ৭০ বছরে কংগ্রেস এই সমস্ত কাজ শেষ করেনি বলেই তো মোদী সরকারকে এ সব করতে হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement