নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে কর্মী পিএফ সংস্থার (ইপিএফও) অছি পরিষদের (সিবিটি) দু’দিনব্যাপী বৈঠক। — ফাইল চিত্র।
কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) সদস্যদের জমা টাকার উপরে ২০২১-২২ সালের জন্য সুদ তার আগের বছরের ৮.৫% থেকে ৮.১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল গত বছর মার্চে।১৯৭৭-৭৮ সালের পরে যা ছিল সব থেকে কম। তাই নিয়ে দেশ জুড়ে মানুষের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্র। এ বার চলতি অর্থবর্ষের জন্য সুদ বিলির পালা। সে ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা জানা যাবে আজ। আপাতত সেই দিকে তাকিয়ে পিএফের ৬ কোটি সদস্য। সোমবার থেকে নয়াদিল্লিতে শুরু হয়েছে কর্মী পিএফ সংস্থার (ইপিএফও) অছি পরিষদের (সিবিটি) দু’দিনব্যাপী বৈঠক। সিবিটি সূত্রের খবর, আজ মঙ্গলবার সুদ নিয়েকথা হবে। তবে সূত্রের দাবি, পিএফে ন্যূনতম পেনশন এখনকার ১০০০ টাকা থেকে এ বারও হয়তো বাড়বে না। সোমবার বৈঠকে শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের তরফে এর অঙ্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে, শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব উত্তর এড়িয়ে যান।
কর্মী সংগঠন সূত্রের বার্তা, খাদ্য-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্যের চড়া মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের নাজেহাল হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে পিএফে সুদের হার বৃদ্ধির দাবি তুলবে তারা। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের অনুমান, সেই দাবি কেন্দ্র কানে তুলবে কি না সন্দেহ। তাদের ধারণা, চলতি অর্থবর্ষের জন্য কর্মী পিএফে সুদ হয়তো কমবে না। তবে বাড়বেও না। অর্থাৎ এ বারও তা ৮.১ শতাংশে রেখে দেওয়া হতে পারে।
শুধু তা-ই নয়, পিএফের ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর দাবি উঠছে বহু দিন ধরে। অছি পরিষদের প্রতিটি বৈঠকে সেই দাবি তোলেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা। একাংশের আশা ছিল, প্রায় সব কিছুর খরচ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আবহে এই বৈঠকে তার সুরাহা হতে পারে। তবে যাদব আশার বাণী না শোনানোয় হতাশ তাঁরা। বস্তুত, পেনশন নিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিলেও দীর্ঘ দিন ধরে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না কেন্দ্র। অছি পরিষদে এআইইউটিইউসির প্রতিনিধি সদস্য দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বৈঠকে বিষয়টি তুলেছিলাম। মন্ত্রীকে মনে করালাম, পেনশন ২০০০ টাকা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলে এক সময়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল। তা সত্ত্বেও বিষয়টি বহু দিন ধরে ঝুলে রয়েছে। কিন্তু যাদব জবাব এড়িয়ে গেলেন।’’