—প্রতীকী চিত্র।
গত মাসে ফের মাথা তুলে ৫.৪৯ শতাংশে পৌঁছেছে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি। আবার চড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্র এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এখনও কেন দেশবাসীর দুর্ভোগ অন্তত কিছুটা কমাতে পারছে না? চড়া সুদে কাহিল ঋণগ্রহীতারাই বা কবে একটু স্বস্তির শ্বাস নিতে পারবেন? এই পরিস্থিতিতে চলতি অর্থবর্ষে গড়ে মূল্যবৃদ্ধির হার পূর্বাভাস মতো ৪.৫ শতাংশই থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্র। যদিও পণ্যের চড়া দাম নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস।
পটনা আইআইটি-র অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের ধারণা খাদ্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে। কারণ দেশের অনেক জায়গায় বন্যা হয়েছে। ফলে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও মাথা তুলতে পারে। তিনি এটাও বলছেন, ‘‘পশ্চিম এশিয়ায় বেড়ে যাওয়া অশান্তি ইতিমধ্যেই বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামকে ঠেলে তুলছে। যুদ্ধের কারণে পণ্যের জোগানও ধাক্কা খেতে পারে। মূল্যবৃদ্ধির হারকে বাড়াতে পারে এগুলিও। কাজেই ডিসেম্বরে সুদ কমাতে পারবে না রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ফেব্রুয়ারির আগে তা হওয়া কঠিন।’’
এক্স-এ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়্গের কটাক্ষ, ‘‘পরিস্থিতি এমনই যে, গরিবদের জন্য রেশনের বন্দোবস্ত থাকা সত্ত্বেও (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদীজি দেশের মানুষকে ক্ষুধায় বিশ্বগুরু বানিয়ে তুলেছেন। বিশ্বের ক্ষুধা সূচকে ১০৫তম স্থানে জায়গা পেয়েছে ভারত।’’ তাঁর দাবি, ‘‘গত সাড়ে ১০ বছরে সাড়ে ১০ সেকেন্ডের জন্যেও বিজেপি-র ‘লুট’ বন্ধ করতে দেননি মোদী।’’
পাত্রের অবশ্য বক্তব্য, ভারতে খাদ্য এবং জ্বালানির দাম কিছু দিন পরপরই মাথা তোলে। ফলে ঋণনীতি স্থির করা আরবিআইয়ের কাছে চ্যালেঞ্জ। বিশেষত খাদ্যশস্য উৎপাদনে যেহেতু আবহাওয়াও বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যত দিন যাবে লক্ষ্য বেঁধে ঋণনীতি ঠিক করার কাজটা আরও কঠিন হবে। তাই মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্য স্থির করার ব্যবস্থা মজবুত করা, তার সঙ্গে বাস্তবের যোগ রাখা এবং প্রয়োজনে বদলের সুযোগ রাখার সওয়াল করেছেন তিনি। তবে একই সঙ্গে দাবি, এ দেশে সরকার ও শীর্ষ ব্যাঙ্কের একযোগে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম টানতে সুদ স্থির করার ব্যবস্থা অন্যান্য দেশের শেখার মতো।