মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
বেকারত্ব নিয়ে অনেক দিন ধরেই মোদী সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়ে আসছে বিরোধীরা। আজ সেই আক্রমণের ধার আরও বাড়ালেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। তাঁর বক্তব্য, বেকারত্ব এখন দেশের গভীরতম সমস্যা। যে সব মানুষের কাজ ‘ছিনিয়ে’ নেওয়া হয়েছে, তাঁরা আগামী দিনে সমস্ত নির্বাচনে বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দেবেন।
সম্প্রতি দেশের বেকারত্ব সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তা ৩.২% ছিল। যদিও এই পরিসংখ্যানের ভিতরে প্রবেশ করলে বহু সমস্যা স্পষ্ট হবে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। শুক্রবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ছিল, মোদী সরকারের আমলে হাতে শিল্প ক্ষেত্রে কার্যত একচেটিয়া কারবার তৈরি হয়েছে। ক্ষমতা পুঞ্জীভূত হয়েছে হাতে গোনা কিছু সংস্থার কাছে। ফলে বেকারত্ব বাড়ছে। আজ খড়্গেও বিজেপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে ওই পরিসংখ্যানকেই হাতিয়ার করেছেন। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানযদিও বেকারত্বের জন্য বিরোধীদেরই নিশানা করেন। তাঁর দাবি, বেকারত্ব বাড়ছে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিতে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে তা নিম্নমুখী।
আজ খড়্গে এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘দেশে এখন বেকারত্বের চেয়ে বড় সমস্যা। যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে মোদী সরকারের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। আমরা শ্রম মন্ত্রকের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বুঝতে পারব, অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও যুবকদের অসহায়তা আড়াল করা যায়নি। মোদীজিকে উত্তর দিতে হবে, ২০২৩-২৪ সালে কি দেশে যুব সম্প্রদায়ের বেকারত্বের হার ১০.২% ছিল না? রঙিন স্লোগান দেওয়া ও ছবি তোলা ছাড়া যুব সম্প্রদায়ের কাজ তৈরির জন্য মোদীজি কী করেছেন?’’ কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে তাঁর আরও অভিযোগ, নিয়মিত কর্মরতা মহিলাদের হার সাত বছরে কমে কর্মী বাহিনীর ১৫.৯ শতাংশে ঠেকেছে। উল্টে গ্রামে বেড়েছেমজুরিহীন মহিলা শ্রমিকের সংখ্যা। যা গ্রামীণ কর্মসংস্থানের দৈন্য স্পষ্ট করে।