Tax fraud

আদানি কাণ্ডে কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্যের ভূমিকা স্পষ্ট: কংগ্রেস

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বিদেশে যে পুঁজি বিনিয়োগ হয়েছে, তা সবচেয়ে বেশি গিয়েছে সিঙ্গাপুর, আমেরিকা এবং ব্রিটেনে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৪১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

দেশের আইন ভাঙার জন্য কী ভাবে কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্যগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে তা আদানি কাণ্ডেই পরিষ্কার হয়েছে বলে দাবি করল কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, এই সমস্যার সমাধানের জন্য জি২০ সম্মেলনে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সময়ে দেশের স্বার্থের কথা ভাবার বদলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের ভাবমূর্তির প্রচারে বেশি ব্যস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে সংবাদমাধ্যমের একটি খবর পোস্ট করেছেন রমেশ। সেই খবরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত থেকে বিদেশে যে পুঁজি বিনিয়োগ হয়েছে, তা সবচেয়ে বেশি গিয়েছে সিঙ্গাপুর, আমেরিকা এবং ব্রিটেনে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে বারমুডা (১২,৫৮২ কোটি টাকা), জার্সি (১১,৬৬১ কোটি টাকা) এবং সাইপ্রাসের (৯৯৮৫ কোটি টাকা) মতো কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য। এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে রমেশের বক্তব্য, ভারতের পুঁজি যে বেশি করে বিদেশে যাচ্ছে তার একটা বড় কারণ বিশ্বায়নের গভীরতা। কিন্তু সেই পুঁজির উল্লেখযোগ্য অংশ ওই সমস্ত দেশে যাওয়া উদ্বেগের। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের আইনকানুন ভাঙার জন্য কী ভাবে কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্যগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা আদানি কাণ্ডেই স্পষ্ট হয়েছে। এই আইনলঙ্ঘন ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষতি করছে এবং আমাদের শেয়ার বাজারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং ঘুরপথে সেই টাকা ফিরিয়ে আনা যাতে বন্ধ হয়, তা যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement