মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
ফের অর্থনীতি নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে মোদী সরকার। বুধবার এক দিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের ‘অর্থনীতিকে ধ্বংস’ করার অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। অন্য দিকে তাদের দাবি, বন্ধু শিল্পপতিদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া, ধারাবাহিক ভাবে ছোট শিল্পের ক্ষতি করা, গঠনমূলক আলোচনা থেকে দূরে থাকার মতো সরকারের নানা পদক্ষেপের জের বইছেন ভারতের ১৪০ কোটি মানুষ। পাশাপাশি, প্রশ্ন তোলা হয়েছে চড়া বেকারত্ব ও কাজের অভাব নিয়েও।
করোনার পরে ও লোকসভা ভোটের সময়ে কাজ ও চড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছে বিরোধী দলগুলি। আর এ দিন এক্স-এ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়্গে একটি রিপোর্ট তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একার জন্যই সকলে ভুগছেন। নোট বাতিল, তড়িঘড়ি জিএসটি চালু এবং পরিকল্পনাহীন করোনা লকডাউন দেশের অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে। কোটি কোটি মানুষ রুজি-রোজগার হারিয়েছেন। দেশবাসী মোদী সরকারকে এ জন্য ক্ষমা করবেন না। প্রচার করে, ভুল বোঝালেও সত্যিটা সব সময়েই বার হয়।
ইন্ডিয়া রেটিংসের ওই রিপোর্টকে তুলে ধরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশেরও দাবি, তাঁরা এত দিন যে অভিযোগ করছিলেন, তা-ই মান্যতা পেয়েছে সেখানে। যা জানাচ্ছে, ২০১০-১১ থেকে শুরু করে ২০১৫-১৬ সাল পর্যন্ত ছোট শিল্প গড়ে ৭.৪% হারে বাড়ছিল। দেশের অর্থনীতিতে তার অবদান ছিল ৪৪ শতাংশেরও বেশি। সেই ক্ষেত্রই তার পর থেকে বছরে ০.২% করে কমছে। মুছে গিয়েছে ১.৬ কোটি কাজ।
রমেশের আরও দাবি, আরও বেশি সংখ্যায় তরুণেরা কাজের জগতে ঢুকছেন, অথচ উৎপাদন ক্ষেত্রে কাজ নেমেছে ৩.০৬ কোটিতে। ‘অজৈবিক প্রধানমন্ত্রীর হঠকারী সিদ্ধান্তের’ ফল ভুগছেন দেশের মানুষ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আবার আইআইটি-র মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যাম্পাসিং-এর মাধ্যমে চাকরি পাওয়া কমে যাওয়া, কম বেতনের প্রস্তাব পাওয়া ও চড়া বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।