ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের শেষে দেশে আংশিক ভাবে ৫জি প্রযুক্তির টেলিকম পরিষেবা চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। সে জন্য আগামী মাসে স্পেকট্রাম নিলাম হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগে এই পরিষেবা ঘিরে বাড়ছে কাজিয়া। ইতিমধ্যেই টেলিকম এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলি দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। সরকার প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে তাদের নিজেদের ব্যবহারের ৫জি পরিষেবা চালুর জন্য নীতিগত অনুমোদন দেওয়ায় প্রবল আপত্তি তুলেছে টেলিকম শিল্পের সংগঠন সিওএআই। তাদের দাবি, এতে প্রতিযোগিতার বাজারে সকলকে সমান সুবিধা দেওয়ার নীতি লঙ্ঘিত হবে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সংগঠন বিআইএফ-এর পাল্টা দাবি, এই যুক্তি অযৌক্তিক ও অবাস্তব। দু’পক্ষের ব্যবসার ক্ষেত্র আলাদা। কেউ কারও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়।
সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতরের (ডট) বৈঠকে রিলায়্যান্স জিয়ো, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া-র কর্তারা প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে নিজস্ব ৫জি পরিষেবার পরিকাঠামো গড়ার ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে আপত্তি জানান। মঙ্গলবার বিআইএফ এই সব আপত্তি প্রসঙ্গে বলেছে, তাদের নিজস্ব ৫জির পরিষেবা আমজনতার পরিষেবার থেকে আলাদা হবে। ফলে প্রতিযোগিতার বাজারে বৈষম্যের যুক্তি এখানে খাটে না। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট টি ভি রামচন্দ্রনের বক্তব্য, ‘‘এখানে সাম্য চাওয়ার অর্থ হল, স্কুলের এক শিশুকে ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রাপ্তের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে বলা।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিতর্কের জল কত দূর গড়ায় এবং তার মধ্যে নিলাম কতটা সফল হয়, সেটাই এখন দেখার।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।