—প্রতীকী চিত্র।
দেশে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ৫ শতাংশের নীচে নামলেও, খাদ্যপণ্যের দর বৃদ্ধির হার এখনও ৮ শতাংশের বেশি। এই চড়া হার যে চিন্তার কারণ, সেটা ঋণনীতিতে বলেছিলেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। সেই আশঙ্কা ফের উঠে এল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বুলেটিনে। বুধবার যা জানাল, খাদ্য-জ্বালানি বাদে অন্য পণ্যের দাম (কোর ইনফ্লেশন) কমলেও খাবারের দর যেখানে চড়ে রয়েছে, তাতে বাধা পাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামানোর প্রক্রিয়া। খাদ্যপণ্যের চড়া দর নিয়ে কেন্দ্রকে ফের তোপ দেগেছেন বিরোধীরাও। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে চড়া দাম থেকে আমজনতার সুরাহার জন্য তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
শুধু খুচরো নয়। তাপপ্রবাহের জেরে পাইকারি বাজারেও মে মাসে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে ৯.৮২%। ১০ মাসে সর্বোচ্চ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, খাবারের দাম দেশ জুড়ে যে উদ্বেগ তৈরি করছে, তার পুরোটা এই হারে প্রতিফলিত হচ্ছে না। ধাক্কা টের পাওয়া যাবে আগামী দিনে খাবারের পাইকারি দর খুচরো দামকে আরও বাড়িয়ে দিলে। তখন খরচ আরও চড়বে। নিবন্ধে যদিও দাবি, ভাল বৃষ্টির হাত ধরে আগামী দিনে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অবশ্য বলেছে, এই মত লেখকদের নিজস্ব, শীর্ষ ব্যাঙ্কের নয়।