—প্রতীকী চিত্র।
কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না সোনার দাম কমার। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ায় লগ্নির নিরাপদ ক্ষেত্রে হিসেবে সোনাকেই আকড়ে ধরছেন বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে লাফিয়ে বাড়ছে তার দাম। শনিবার কলকাতায় খুচরো পাকা সোনার (১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট) দাম আগের শুক্রবারের থেকে ২৫০ টাকা বেড়ে নতুন নজির গড়ে ঠেকেছে ৭৪,৭৫০ টাকায়। জিএসটি যোগ করে তা ৭৬,৯৯২.৫০ টাকা। সোনা ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে, এমনিতেই সোনার দাম বৃদ্ধির ফলে পয়লা বৈশাখে বিক্রি খুব একটা ভাল হয়নি। এ বার অক্ষয় তৃতীয়ায় কী হয়, সে দিকেই তাকিয়ে তারা।
স্বর্ণশিল্পের মতে, বিশ্ব বাজারে সোনার দাম বৃদ্ধির জেরেই ভারতে তা মহার্ঘ হয়েছে। এ দিন আন্তর্জাতিক বাজারে আউন্সে পাকা সোনার দাম ছিল ২৩৯২ ডলার। গত এক সপ্তাহেই বেড়েছে ২৬ ডলার। ন্যাশনাল জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে-র মতে, ‘‘পাকা সোনার (১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট) দাম ৮০,০০০ টাকা ছুঁতে বেশি সময় লাগবে বলে মনে হয় না। রুপোর দামও কেজিতে ১ লক্ষ টাকার দিকে এগোচ্ছে। বিশ্ব বাজারে পরের সপ্তাহেই সোনা ২৪০০ ডলার ছাড়াবে বলে ধারণা।’’ উল্লেখ্য, শনিবার খুচরো রুপোর কেজি ছিল ৮৩,৯০০ টাকা।
কপালে চিন্তার ভাঁজ গয়না ব্যবসায়ীদের। এ বার পয়লা বৈশাখের বাজার তাঁদের হতাশ করেছে বলে জানান বেলঘরিয়ার এক ছোট গয়নার দোকানের মালিক দীপঙ্কর পোদ্দার। হলদিয়ার গয়না ব্যবসায়ী মধুসূদন কুইলা বলেন, ‘‘গত বছর পয়লা বৈশাখে ১৭ জোড়া বালা বিক্রি করেছিলাম। এ বার মাত্র ১ জোড়া। তবে যাঁদের গয়না কেনা একান্তই জরুরি, দাম আরও বাড়ার আশঙ্কায় তাঁরা তা কিনতে শুরু করেছেন। যে জন্য বছর শুরুর দিন বিক্রি আশানুরূপ না হলেও পরে বেড়েছে।’’
বরাতের অভাবে কারিগরদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলে দাবি বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দারের। তিনি বলেন, ‘‘বরাতের বড় অংশ আসত মফস্সলের দোকানগুলি থেকে। সেখানে বিক্রি কমায় বৌবাজার-সহ কলকাতার বহু অঞ্চলের কারিগরদের হাতে কাজ নেই বললেই চলে।’’