উদ্বেগ: ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচ বন্দর। আশঙ্কা ব্যস্ততা কমার। ছবি: এএফপি।
একে অন্যের পণ্যে শুল্ক বসিয়ে শুক্রবারই পুরোদমে বাণিজ্য যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিয়েছে বেজিং এবং ওয়াশিংটন। তবে তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চিন জানাল, বাজারের দরজা হাট করতে আপত্তি নেই। একই সঙ্গে তারা তৈরি আরও বেশি করে সংস্কারের পথে হাঁটতেও।
পূর্ব ইউরোপের দেশের নেতাদের সঙ্গে সোফিয়ায় আলোচনায় যোগ দিতে এসে শনিবার চিনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং বলেন, বিদেশি পণ্যের জন্য দরজা আরও বেশি করে খুলে দিতে চায় চিন। বিশেষত সেই সমস্ত পণ্য, যেগুলি চিনা ক্রেতারা বেশি ব্যবহার করেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওই সব পণ্যে আমদানি শুল্ক কমাতে আপত্তি নেই।’’
একই সঙ্গে চিনা প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁদের দেশে আর্থিক সমৃদ্ধির পিছনে বড় ভূমিকা সংস্কারের। তাই সেই রাস্তা থেকে সরে আসতে চান না তাঁরা। বরং আরও জোর দিতে চান সেই বিষয়ে। খ্যছিয়াংয়ের কথায়, ‘‘বাকি বিশ্বের সামনে বাজারের দরজা খুলে দিতে চাই আমরা। স্বাগত বিদেশি বিনিয়োগও।’’
এক পক্ষের মতে, আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক-লড়াইয়ে এ কথা বলে আসলে সুর কিছুটা নরম করল চিন। আবার অন্য পক্ষের দাবি, এই মন্তব্য করে আসলে ঘুরিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-প্রাচীর উঁচু করার প্রবণতাকেই কটাক্ষ করতে চেয়েছে বেজিং।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই ৩,৪০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে ২৫% শুল্ক চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাঘাতের কথা জানিয়েছে বেজিংও। সমমূল্যের মার্কিন পণ্যে একই হারে কর বসানোর কথা বলেছে তারা। যা দেখে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ বার এই যুদ্ধের মাসুল চোকাতে হবে সারা বিশ্বের শেয়ার বাজার ও অর্থনীতিকে। এই পরিস্থিতিতে তাই এ দিন খ্যছিয়াংয়ের মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।