ইউক্রেনে সামরিক হামলার পরে রাশিয়ার উপর পশ্চিমী দেশগুলি নানা রকম আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে।
ইউক্রেনে সামরিক হামলার পরে রাশিয়ার উপর পশ্চিমী দেশগুলি নানা রকম আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রাশিয়ার প্রধান ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে বিশেষ বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা ‘সুইফটের’ সুবিধাও বন্ধ করে দিয়েছে। পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে হাত না-মেলালেও চিন এ বার নিজেদের আর্থিক ভাবে সুরক্ষিত রাখতে তাদের দেশে রাশিয়ার মুদ্রা রুবলের দাম যাতে পড়ে, তার জন্য পদক্ষেপ করল। দিনভর কেনাবেচার ক্ষেত্রে রুবলের ওঠাপড়ার পরিধি আগের থেকে ১০% বাড়িয়ে দিল তারা। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, চিনা মুদ্রা ইউয়ানের নিরিখে রুবলের দাম একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি বাড়লে বা কমলে তা নিয়ন্ত্রণের যে ব্যবস্থা রয়েছে চিনে, সেই মাত্রাই ১০% বাড়িয়ে দিয়েছে বেজিং।
পশ্চিমী দেশগুলি সুইফটের তালিকা থেকে রাশিয়ার অনেক ব্যাঙ্কের নাম কাটার পরে রুবলের দাম ইতিমধ্যেই তা ৪০% পড়ে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, চিনের পদক্ষেপে তা আরও পড়বে। আর্থিক বিশেষজ্ঞ অর্নিবাণ দত্ত এবং পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলেন, আদর্শগত ভাবে চিন এবং রাশিয়া একই মেরুতে থাকলেও আর্থিক স্বার্থ রক্ষার খাতিরেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। রাশিয়া থেকে প্রচুর পণ্য আমদানি করে তারা। রুবলের দাম কমলে চিনের আমদানি খরচ কমবে। চিনা সংস্থাগুলিও রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করে লাভজনক চুক্তি করতে পারবে।