—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের চায়ের সামনে সরাসরি বিদেশ পাড়ির সুযোগ!
এ বার ডুয়ার্সের চায়ের সার্ধশতবর্ষ। সেই উপলক্ষে ৬৭টি দেশের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হবে সেই চা। কড়া স্বাদের সিটিসি পাতা, গ্রিন টি, হোয়াইট টি-এর সঙ্গেই তুলে ধরা হবে হাতে তৈরি ব্ল্যাক অর্থোডক্স চা পাতা। হাতে তৈরি গ্রিন টি এবং হোয়াইট টি-ও বিদেশে যাওয়ার আশায় রওনা হচ্ছে দিল্লি।
আগামী ১৯-২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর প্রগতি ময়দানে হবে কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া’ সম্মেলন। উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রতি বছরই খাদ্যসামগ্রীর প্রদর্শনী থেকে নানা আলোচনাচক্র, সরাসরি ক্রেতা-বিক্রেতাদের বৈঠক হয় সেখানে। নানা দেশের প্রতিনিধিরা ভারতীয় খাদ্যসামগ্রী কেনেন। চুক্তি করেন প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে। এ বার ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়া’য় ডাক পড়েছে ডুয়ার্সের চায়ের। সেখানে চা পর্ষদের স্টলে রাখা হবে ওই পণ্য।
দেশের মোট চা উৎপাদনের বড় অংশের জোগান দেয় ডুয়ার্স। তবে দেড়শো বছর পেরিয়ে গেলেও সেই চা বিদেশে সরাসরি রফতানি হয় না। উৎপাদনকারীরা আক্ষেপের সঙ্গেই বলে থাকেন, ‘‘ডুয়ার্সের চা বিদেশে যায়, তবে অন্য নামে।’’ ওই চা পাতা অন্য এলাকার পাতার সঙ্গে মিলিয়ে বা নাম দিয়ে বহুজাতিক সংস্থাগুলি পরিচয় করায় বলে দাবি। এ বারে সরাসরি বিদেশি সংস্থা বা বিপণন বিশেষজ্ঞেরা ডুয়ার্সের চা প্রস্তুতকারীদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবেন। এই সুযোগ করে দিয়েছে ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি। ওই চায়ের দেড়শো বছর পূর্তির কথা জানিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়ায়’ ডুয়ার্সের চা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়েছে।
দিল্লিতে যে চা পাঠানো হচ্ছে সেগুলি মূলত যাচ্ছে ছোট চা বাগান থেকে। ছোট বাগানের পাতা তুলে চা বানাচ্ছে একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন সিস্টা-র সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দিল্লিতে ৬৭টি দেশের প্রতিনিধিদের সামনে উপস্থিত হওয়া ডুয়ার্সের চায়ের ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে মাইলফলক। আশায় রইলাম।’’