পরিষেবা শিল্পের ১২টি ক্ষেত্রকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করে সেগুলির জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার পরিকল্পনায় বুধবার সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
এই ১২টি ক্ষেত্রের মধ্যে রাখা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, হোটেল, আতিথেয়তা, শিক্ষা, পরিবহণ, পণ্য চলাচল, আইনি পরিষেবা, পরিবেশ উন্নয়ন, আর্থিক পরিষেবা, অডিও-ভিস্যুয়াল পরিষেবাকে। এই সব এগিয়ে থাকা ক্ষেত্রকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ তকমা দিয়ে আলাদা অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় আনা হয়েছে। ওই পরিকল্পনা রূপায়ণেই ৫ হাজার কোটি টাকার তহবিল রাখায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আয়োজিত বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রকের আনা প্রস্তাবটিতে সায় দিয়েছে তারা। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সব পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক বা দফতরকে ওই অ্যাকশন প্ল্যান রূপায়ণ করতে হবে।
কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে: প্রধানমন্ত্রীর কর্মসংস্থান কর্মসূচি বা প্রাইম মিনিস্টার্স এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন প্রোগ্রাম (পিএমইজিপি) চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি।। দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী যোজনার পরেও ২০১৯-’২০ সাল পর্যন্ত তা চালিয়ে যাওয়া যাবে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। বরাদ্দের অঙ্ক ৫৫০০ কোটি টাকা। জাতীয় স্তরে পিএমইজিপি রূপায়ণের মূল দায়িত্বে রয়েছে খাদি অ্যান্ড ভিলেজ ইন্ডাস্ট্রিজ কমিশন (কেভিআইসি)। অতি ক্ষুদ্র সংস্থা গড়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় এই কর্মসূচির আওতায়।
শস্য সংগ্রহে সুবিধা সমবায় সংস্থাকে: সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে আরও বেশি ডাল ও তেল-বীজ সংগ্রহ করতে পারবে সমবায় সংস্থা নাফেড। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি এই লক্ষ্যে সরকারি গ্যারান্টির অঙ্ক দ্বিগুণ করায় সায় দিয়েছে। ফলে ওই গ্যারান্টি দাড়াল ১৯ হাজার কোটি টাকা। ডাল ও তেল-বীজের দাম পড়ে যাওয়ার জেরে চাষিদের সুরক্ষা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। সহায়ক মূল্যে নাফেড-এর কাছে বাড়তি শস্য বিক্রি করতে পারলে চাষিদের অভাবি বিক্রি বন্ধ করা যাবে বলে আশা কেন্দ্রের। পাশাপাশি, ছোট চাষিদের জন্য স্মল ফার্মার্স অ্যাগ্রি-বিজনেস কনসোর্টিয়ামকে ৪৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সরকারি গ্যারান্টি দেওয়ায় অনুমোদন মিলেছে।