ফাইল চিত্র।
বেসরকারিকরণের চেষ্টা চলছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু অন্তত তিন বার তা ব্যর্থ হয়েছে। শেষ বার সেই প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয় অতিমারির জন্য। তবে এরই মধ্যে সম্প্রতি আগ্রহপত্রের প্রক্রিয়া শেষ করতে পেরেছে কেন্দ্র। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী জানালেন, এ ভাবে বারবার এয়ার ইন্ডিয়া (এআই) বেসরকারিকরণের পদক্ষেপ ধাক্কা খাওয়ায় সেই কর্মসূচির সময়সীমা নতুন করে সাজাতে হচ্ছে তাঁদের। পরবর্তী পর্যায়ে চাওয়া হবে আর্থিক দরপত্র।
২০০৭ সালে এআই এবং ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের সংযুক্তিকরণের পর থেকে আর্থিক ক্ষতি শুরু হয় সংস্থাটির। যা বাড়তে বাড়তে ৬০,০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই অবস্থায় বিক্রি করা না-গেলে বন্ধই করে দিতে হবে সংস্থাটিকে। এ দিন সে কথা ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি আয় করা শুরু করেছে বটে। তবে বিপুল অঙ্কের ওই পুঞ্জীভূত ক্ষতির জন্যই দিনে ২০ কোটি টাকা করে নতুন ক্ষতি যোগ হচ্ছে
ওই বোঝায়।
শুরুতে মোট চারটি সংস্থা ও গোষ্ঠী আগ্রহ দেখিয়েছিল এআই কেনার জন্য। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়েই দু’টি বাদ পড়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের আলোচনা, এআই কেনার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে টাটা গোষ্ঠী। এ দিন সুপ্রিম কোর্টে সাইরাস মিস্ত্রির বিরুদ্ধে মামলায় গুরুত্বপূর্ণ জয় পেয়েছে টাটা সন্স। যার ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ আরও দৃঢ় ভাবে করতে পারবে তারা।
পুরী বলেন, ‘‘আমরা নতুন ভাবে সময়সীমা তৈরি করছি। সম্ভাব্য ক্রেতারা আপাতত এআই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখছে। এই প্রক্রিয়া শুরুর ৬৪ দিনের মধ্যে আর্থিক দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার পরে হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এবং সংস্থা হাতবদল।’’ বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করার জন্য এ দিন কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী। জানিয়েছেন, কংগ্রেস যদি কোনও সঠিক পদক্ষেপ করে থাকে, তবে তা হল দিল্লি এবং মুম্বই বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণ। এর ফলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বড় অঙ্কের আয় হয়েছে।