নির্মলা সীতারামন। ফাইল চিত্র।
অতিমারির মধ্যে গত বছর বাজেটের নথি মুদ্রণের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিল মোদী সরকার। ছাপানো হয়েছিল হাতে গোনা কয়েকটি কপি। এ বারেও সেই ধারা বজায় রাখছে কেন্দ্র। এমনকি, কাগুজে নথি থাকছে না অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের হাতেও।
বাজেট নথির সিংহ ভাগ জুড়ে থাকে অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতা। সেই সঙ্গে বাজেটের সার সংক্ষেপ, বার্ষিক খরচের হিসাব, কর প্রস্তাব সম্বলিত অর্থবিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়। ফলে তার কলেবর হয় বিপুল। পুরো সেটটি রাখা হয় কাপড়ের ব্যাগে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত তা বিলি করা হত সাংসদ, সংবাদমাধ্যম এবং বিশ্লেষকদের মধ্যে। খরচ ছাঁটাইয়ের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শেষ দু’পক্ষকে নথি দেওয়া বন্ধ করে কেন্দ্র। তার পরে শূন্যে নামিয়ে আনা হয় সাংসদদের দেওয়া কপির সংখ্যা। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ছাপা হচ্ছে অল্প কয়েকটি কপি। পুরো নথিই রাখা হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যমে। যে কেউ তা সেখান থেকে দেখতে পারবেন। এই ব্যবস্থা অবশ্য প্রত্যেক বছরই থাকে। বক্তৃতার শেষে মোবাইল অ্যাপেও পাওয়া যাবে সেই বাজেট। যা তৈরি করা হচ্ছে ইংরেজি এবং হিন্দিতে।
একটা সময়ে বাজেট নথি ছাপাতে প্রায় দু’সপ্তাহ সময় লাগত। তা হত নর্থ ব্লকের বেসমেন্টে। সংসদের ছাপাখানার কর্মীদের ওই সময়ে সেখানেই রেখে দেওয়া হত। গোটা প্রক্রিয়া শুরুর আগে হত হালুয়া উৎসব। যেখানে অর্থমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং মন্ত্রকের অফিসারেরা উপস্থিত থাকতেন। এ বার প্রক্রিয়াটি সংক্ষিপ্ত হয়ে এসেছে। হাতে গোনা কয়েক জন কর্মীকে রাখা হয়েছে ডিজিটাল বাজেট নথি তৈরির জন্য। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, অতিমারির জন্য এ বার হালুয়া উৎসবও হয়নি। তবে কর্মীদের মধ্যে মিষ্টির প্যাকেট বিলি করা হয়েছে।