টাটা ইভিশন।— ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে সম্প্রতি ফেম প্রকল্পের দ্বিতীয় দফায় সায় দিয়েছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সেই গাড়ি তৈরির সহায়ক পরিবেশ গড়তে নীতি আয়োগ প্রস্তাবিত জাতীয় প্রকল্পটিও (ন্যাশনাল মিশন অন ট্রান্সফরমেটিভ মোবিলিটি অ্যান্ড ব্যাটারি স্টোরেজ) অনুমোদন করল মন্ত্রিসভা। লক্ষ্য, দেশেই বৈদ্যুতিক গাড়ির অন্যতম যন্ত্রাংশ ব্যাটারি তৈরি। যাতে সেগুলি আমদানি করতে না হয়।
সরকারি সূত্রে দাবি, এ দেশে ব্যাটারি তৈরি হলে তার খরচ কমবে। ফলে কমতে পারে গাড়ির দাম। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও বলেন, ‘‘আমরা বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে চাইলেও, মূল সমস্যা ব্যাটারি। চিন, কোরিয়া, জাপান, তাইল্যান্ডে তা তৈরি হয়। ভারতকেও ব্যাটারি তৈরির হাব গড়তে চাই।’’
এ দিন সায় পাওয়া প্রকল্পে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য নানা কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে। যেমন, ব্যাটারি ও যে ‘সেল’ দিয়ে তা তৈরি হয় তার কারখানা গড়ায় উৎসাহ দেওয়া। কেন্দ্রের দাবি, ব্যাটারি ভারতে তৈরি হলে এই গাড়ি তৈরি ও তার ব্যবহার বাড়ানো সহজ হবে। এর চাহিদা বাড়াতে ফেম প্রকল্পেও যা বলা হয়েছে।
শিল্পের একাংশের অবশ্য প্রশ্ন, ফেম প্রকল্প থাকতে নতুন প্রস্তাবের যৌক্তিকতা কতটা? ফেমের মধ্যেই ব্যাটারি তৈরির সহায়ক পরিবেশ গড়লে সবটা এক ছাতার তলায় থাকত। কমত জটিলতা। যদিও অনেকে বলছেন, আলাদা করে ব্যাটারিতে জোর দেওয়া যেতেই পারে। তবে সকলেরই মত, গাড়ির যন্ত্রাংশ শিল্পে লগ্নির পথ খুলতে এগিয়ে আসুক রাজ্যগুলিও। কারণ কেন্দ্র নীতি আনে। লগ্নি হয় রাজ্যেই।