—প্রতীকী চিত্র।
নয়াদিল্লি, ১৭ মার্চ: ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের উপরে ২ এপ্রিল থেকে চড়া শুল্ক চাপাবেন বলে ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের ধারণা, কিছু দেশের উপরে কিছু ক্ষেত্রে ওই শুল্ক ভারতের জন্য রফতানির নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। তাই ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে মন্ত্রক। বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্থওয়াল বলেন, ‘‘সরকার ইতিবাচক, নেতিবাচক, সব প্রভাবই খতিয়ে দেখছে।’’
রবিবার ট্রাম্প ফের জানান, ২ এপ্রিল থেকে ভারতের মতো দেশে চড়া শুল্ক বসাবেন। কারণ আমেরিকার পণ্যে তারা চড়া শুল্ক বসায়। বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তাদের যুক্তি, আমেরিকা ঠিক কী নীতি নিতে চলেছে স্পষ্ট নয়। ভারত যদি আমেরিকার বৈদ্যুতিক গাড়িতে চড়া শুল্ক বসিয়ে থাকে, তার পাল্টা জবাবে ট্রাম্প কি ভারতের সমস্ত পণ্যে পাল্টা শুল্ক বসাবেন, নাকি সমস্ত গাড়ির উপরে চাপাবেন, নাকি শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়িতে চাপাবেন— তা বোঝা যাচ্ছে না। তাতে আদৌ লোকসান হবে কি না, সেটাও প্রশ্ন। কারণ ভারতে আমেরিকার যে পণ্যে শুল্ক চড়া, তেমন অনেকগুলি ভারত সে দেশে রফতানিই করে না। মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, ভারতের চড়া শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, তার রিপোর্ট ১ এপ্রিল আসার কথা। ৩০ অগস্টের মধ্যে শিল্পকে মতামত দিতে হবে। ফলে ২ এপ্রিল থেকে কী ভাবে শুল্ক চাপবে, স্পষ্ট নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আমেরিকায় দৌত্যও করে এসেছেন। দু’দেশের বাণিজ্যকে ২০,০০০ কোটি ডলার থেকে ২০৩০-এর মধ্যে ৫০,০০০ কোটি করার লক্ষ্য। বাণিজ্য মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, তাঁরা আমেরিকার সঙ্গে চড়া শুল্ক নিয়ে কথা না বলে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দর কষাকষির মধ্যেই বিষয়টিকে রাখছেন। কথা এগোচ্ছেও। বাকিটা আমেরিকার নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।