ইস্পাত রফতানি আর শুল্ক লাগবে না। — ফাইল চিত্র।
তুলে নেওয়া হল ইস্পাত ও আকরিক লোহার রফতানি শুল্ক। মে মাসে তা বসার পর থেকেই রফতানিতে ধাক্কার কথা জানাচ্ছিল সংশ্লিষ্ট শিল্প মহল। তাদের দাবি ছিল, এর জেরে ইস্পাতের দাম বাড়ছে। ফলে বিদেশে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে দেশের পণ্য। যে কারণে শুল্ক তোলার আর্জি জানিয়েছিল তারা। শেষ পর্যন্ত শনিবার সেই পথে হেঁটে শুল্ক ফেরাল অর্থ মন্ত্রক। যাতে খুশি রফতানি ও ইস্পাত শিল্প। তবে এ দিন ইস্পাতের কিছু কাঁচামালে শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর জেরে আবার দেশে ইস্পাতের পণ্যের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছে শিল্প মহল।
অতিমারি কাটিয়ে অর্থনীতি ছন্দে ফেরার মুখে বাড়ছিল ইস্পাত রফতানি। এর জেরে দেশে কাঁচামালের দাম বাড়ায় দ্রুত বেড়ে যায় টিএমটি বার, লোহার রড, বিম ইত্যাদি পণ্যের দরও। বিশেষত সমস্যায় পড়ে নির্মাণ শিল্প। অবস্থা সামলাতে রফতানিতে শুল্ক বসায় সরকার। কিন্তু হালে রফতানি কমতে শুরু করেছে। পাশাপাশি ইস্পাত সংস্থাগুলিও শুল্ক তোলার আর্জি জানাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহে ইস্পাতমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই শুল্ক তোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তে খুশি ইস্পাত শিল্প। আর্সেলর মিত্তল নিপ্পন স্টিলের সিইও দিলীপ উম্মেন বলেন, “কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ইস্পাত শিল্পকে উৎসাহ দেবে।’’ জিন্দল স্টিলের এমডি অভ্যুদয় জিন্দলের কথায়, “বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় এগোতে সাহায্য করবে এই সিদ্ধান্ত।’’
তবে রফতানি শুল্ক ওঠায় দেশে ইস্পাতের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা শ্যাম স্টিলের ডিরেক্টর ললিত বেরিওয়ালের। তিনি বলেন, “শুল্ক তুলে নেওয়া হতে পারে, এই খবরেই দেশে ইস্পাতের দাম ৫% বেড়েছে। কমপক্ষে আরও ৫% শতাংশ বাড়বে বলে আশঙ্কা।’’ তিনি মনে করাচ্ছেন, এর আগে রফতানি বৃদ্ধির ফলেই দেশে পণ্যটির দাম বেড়েছিল। তবে বিশ্ব বাজারে চাহিদা কম থাকায় দর এখনই বাড়বে বলে মনে করছেন না ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানিকারীদের সংগঠন ইইপিসি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অরুণ গারোদিয়া।