—প্রতীকী চিত্র।
পেট্রল-ডিজ়েলের মতো প্রথাগত জ্বালানিতে চলা গাড়ির তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম অনেক চড়া। এই ধরনের গাড়ির ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো ধীরে ধীরে গড়ে উঠলেও চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে ফারাক যথেষ্ট। তবু দূষণ ও জ্বালানি আমদানির খরচে রাশ টানতে অন্যান্য দেশের মতো ভারতও বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে জোর দিচ্ছে। শিল্পোন্নয়ন ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য দফতরের সচিব রাজেশ কুমার সিংহের বক্তব্য, কার্বন নিঃসরণ কমাতে ও ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বৈদ্যুতিক গাড়ি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
২০৪৭ সালে পৌঁছনোর সার্বিক কর্মসূচির মধ্যে পরিবহণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। সে কথা উল্লেখ করে রাজেশ জানান, সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে উৎপাদন ভিত্তিক আর্থিক সুবিধা (পিএলআই) প্রকল্প, কর ছাড় ও চার্জিং পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক নীতির সুবিধা চালু হয়েছে। সচিবের আরও বক্তব্য, শিল্পের সার্বিক পরিবেশ গড়ে তুলতে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে কথা হয়েছে। সেখানে দেশে ধারাবাহিক
ও ভারসাম্যযুক্ত উন্নয়ন এবং পোক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার দাবি করে প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি প্রকল্প এবং পণ্য পরিবহণ ক্ষেত্রে সার্বিক মঞ্চ গড়ার মতো পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।
২০২২-২৩ সালের আর্থিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার দ্রুত বাড়ছে। ২০৩০ সালে পৌঁছে বছরে এক কোটি এমন গাড়ি বিক্রি হতে পারে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে তৈরি হতে পারে পাঁচ কোটি কাজ। শিল্পের হিসাব, ২০২২ সালে ১০ লক্ষ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছিল।
দেশে বৈদ্যুতিকের চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে এই শিল্পে উৎসাহ জোগাতে আর্থিক সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্র। এর ব্যাটারি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ১৮,১০০ কোটি টাকার পিএলআই প্রকল্প আনা হয়েছে। একই ভাবে গাড়ির যন্ত্রাংশ ও ড্রোন শিল্পে ২৬,০৫৮ কোটি টাকার ভর্তুকি প্রকল্প আনা হয়েছে।