আগামী দিনে সমস্ত সোনার গয়নায় হলমার্ক বাধ্যতামূলক হোক। ফাইল চিত্র।
বাধ্যতামূলক হলেও, অনেক সময়েই সোনার গয়নায় হলমার্ক থাকছে না বলে অভিযোগ উঠছে। তাই দেশের সমস্ত দোকান থেকে বিক্রি হওয়া প্রতিটি গয়নায় তা অপরিহার্য করতে প্রস্তাব আনল কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও গণবণ্টন সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। তাদের দাবি, ক্রেতা ভবিষ্যতে সেগুলি বিক্রি করতে গেলে যাতে পুরো সোনার দাম পান, সেটা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।
সরকারি সূত্রের দাবি, আজকের বৈঠকে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কমিটির সদস্যেরা জানিয়েছেন, এখন ২ গ্রামের কম সোনা কিনলে তাতে হলমার্ক দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। ফলে সেগুলি পরে যথার্থ বাজারদরে বিক্রি করা যায় না। এক সদস্যের কথায়, ‘‘এতে যাঁদের আর্থিক সঙ্গতি কম, মূলত তাঁরাই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। হলমার্ক না থাকায় গয়না বিক্রি করে ঠিক দাম পান না।’’ কমিটির তাই প্রস্তাব, আগামী দিনে সমস্ত সোনার গয়নায় হলমার্ক বাধ্যতামূলক হোক। প্রত্যেক ব্যবসায়ী যাতে এটা করতে বাধ্য থাকেন, তা আইনি ভাবে মানার বিষয়টিই নিশ্চিত করা হোক।
বৈঠকে আখ থেকে ইথানল উৎপাদনের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ সালের মধ্যেই পেট্রলে ১০% ইথানল মেশানোর পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্র। লক্ষ্য, তেল আমদানির খরচ বাঁচানো ও পরিবেশ রক্ষা। জুনে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সময়ের পাঁচ মাস আগেই লক্ষ্য ছুঁয়েছে ভারত। কেন্দ্রের দাবি, পরিবেশে প্রায় ২৭ লক্ষ টন কম কার্বন নিঃসরণ হয়েছে। আমদানি খাতে বেঁচেছে প্রায় ৪১,০০০ কোটি টাকা। তাই ২০২৫ সালের মধ্যে ২০% এবং ২০৩০-এর মধ্যে ৩০% ইথানল মেশানোর লক্ষ্য। সূত্রের খবর, বিহারের এক সাংসদ বলেছেন, দেশে চাহিদার তুলনায় আখ উৎপাদন বেশি হওয়ায় সরকারের উচিত চিনি কারখানাগুলিকে ইথানল উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া। এতে বন্ধ কারাখানা চাঙ্গা হবে। বাড়বে কাজ। আয় বাড়বে আখ চাষিদের। বৈঠকে সকলেই চিনি কারখানাগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের আর্জি জানান সরকারকে।