‘দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন’-এর বার্তা দিতে নরেন্দ্র মোদী সরকার আরও ১২ জন কমিশনার স্তরের কর অফিসারকে অবসর নিতে বাধ্য করল। মঙ্গলবারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়েছে অর্থ মন্ত্রকে। শাস্তির মুখে পড়ে উচ্চপদস্থ রাজস্ব অফিসার অনুপ কুমার শ্রীবাস্তব অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব সচিবের দিকে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ মেটানোর অভিযোগ তুলেছেন।
গত সপ্তাহেই আয়কর দফতরের ১২ জন উচ্চপদস্থ অফিসারকে বাধ্যতামূলক ভাবে অবসর নেওয়ানো হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ঘুষ নেওয়া, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি, যৌন হেনস্থার অভিযোগ ছিল। মোদী সরকারের দাবি ছিল, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতো দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। এ বার পরোক্ষ কর পর্ষদ বা সিবিআইসি-র ১২ জন অফিসারের উপর কোপ পড়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিবিআইসি-র প্রিন্সিপাল কমিশনার অনুপ কুমার শ্রীবাস্তব-ও। ঘটনাচক্রে শ্রীবাস্তব এখন কেন্দ্রীয় শুল্ক-কর অফিসারদের সংগঠনের প্রধান।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরেই শ্রীবাস্তব অভিযোগ তুলেছেন, রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ইউপিএসসি থেকে তাঁর চিফ কমিশনার হিসেবে পদোন্নতির ফাইল রাজস্ব দফতরে পাঠানো হয়েছিল। ভিজিল্যান্স কমিশন তাতে ছাড়পত্রও দিয়েছিল। কিন্তু রাজস্ব সচিব তা আটকে দেন। রাজস্ব সচিবের চাপের সামনে সিবিআইসি-ও মাথা নত করেছে।
রাজস্ব সচিব এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। কিন্তু অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সন্দেহে সিবিআই একাধিক মামলা দায়ের করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থা ও চাপ দিয়ে টাকা তোলা, তাঁর স্ত্রী-র বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকার শেয়ার লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে কর ফাঁকির খবর পেয়ে ৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া, বাছাই করে গ্রেফতারির অভিযোগও রয়েছে।