সরকারের হাতে শস্যটির মজুত রয়েছে যথেষ্ট। ফাইল ছবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সারা বিশ্বে গমের সরবরাহ ধাক্কা খেয়েছে। বেড়েছে তার দাম। আর ভারতে সেই সমস্যা আরও বাড়িয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানার মতো রাজ্যে তাপপ্রবাহ। যার জেরে সদ্য শেষ হওয়া কৃষিবর্ষে দেশে গমের উৎপাদনও কম হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সুধাংশু পাণ্ডের দাবি, জল্পনার উপর ভিত্তি করে লেনদেন এবং মজুতের ফলেই দাম বাড়ছে। আদতে সরকারের হাতে শস্যটির মজুত রয়েছে যথেষ্ট। এফসিআইয়ের গুদামেই ২.৪ কোটি টন গম রয়েছে। যা বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট। তবে সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, তা সত্ত্বেও প্রয়োজন হলে গমের মসৃণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্র কড়া পদক্ষেপ করতে পারে। প্রথম ধাপে ব্যবসায়ীদের গমের মজুত সম্পর্কে তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। দ্বিতীয় ধাপে চাপানো হতে পারে মজুতের ঊর্ধ্বসীমা।
২০২০-২১ কৃষিবর্ষে ভারতে ১০.৯৬ কোটি টন গম উৎপাদন হয়েছিল। ২০২১-২২ কৃষিবর্ষে তা ১০.৬৮ কোটি টনে নেমে থাকতে পারে বলে এখনও পর্যন্ত মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় বাজারে জোগান নিশ্চিত করতে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে কেন্দ্র।