—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্পেকট্রাম কিনতে অনেক টাকা লাগে। তার উপর সরকারকে চড়া হারে লাইসেন্স ফি দিতে হয়। ফলে টেলিকম ব্যবসায় লাভের মুখ দেখা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে— এই অভিযোগ তুলেই মোবাইল পরিষেবা সংস্থাগুলির লাইসেন্স ফি কমানোর দাবি জানাল তাদের সংগঠন সেলুলার অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই)।
বৃহস্পতিবার সংগঠনের ডিরেক্টর জেনারেল এসপি কোছর বলেন, ‘‘টেলি সংস্থাগুলি মোট আয়ের (এজিআর) ৮% লাইসেন্স ফি দেয়। তা ০.৫-১ শতাংশে নামানো উচিত। কারণ, নিলামে স্পেকট্রাম পাওয়ার সময় বড় অঙ্কের টাকা সরকারকে দেয় তারা। তার পরে ফের এত চড়া লাইসেন্স ফি। এতে লাভ করা কঠিন হচ্ছে সংস্থাগুলির।’’
সংগঠনের দাবি, জাতীয় টেলিকম নীতি ১৯৯৪ অনুযায়ী স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স যখন একসঙ্গে পাওয়া যেত, তখন এই হারে টাকা দিতে হত সরকারকে। কিন্তু স্পেকট্রামের সঙ্গে লাইসেন্স মেলে না। তাই তার জন্য আলাদা করে টাকা জমা দিতে হয়। তারপরেও আয়ের ৮% নিয়মিত দিয়ে সংস্থাগুলির পক্ষে কাজ চালানো মুশকিল হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জিয়ো, এয়ারটেল ও ভোডাফোন আইডিয়া সকলেই সিওএআইয়ের সদস্য। কোছর জানান, সংস্থাগুলির থেকে দু’বার এ ভাবে টাকা আদায় অনেকটা নিজের বাড়ি কিনে তাতে ভাড়া দিয়ে থাকার মতো। অবিলম্বে সরকারের ফি কমানো উচিত।
কোছরের বার্তা, সরকার লাইসেন্স ফি কমালে বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে সংস্থাগুলি পরিকাঠামোর উন্নতি করতে পারবে। তাদের অনেকেই ৫জি পরিকাঠামো তৈরির খরচ জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। পরিকাঠোম পোক্ত হলে লাভ হবে দেশবাসীর। উন্নত হবে দেশের টেলিকম পরিষেবা।