চিত্রা রামকৃষ্ণ।
আর্থিক অনিয়মে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁর বাড়ি-অফিসে আয়কর দফতর হানা দিয়েছিল বৃহস্পতিবারেই। আর শুক্রবার ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণেকে জেরা করল সিবিআই। কিছু নির্দিষ্ট ব্রোকারকে আগে লেনদেনের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার মামলায় এই জিজ্ঞাসাবাদ। সেই সঙ্গে চিত্রা, এক্সচেঞ্জের অপর প্রাক্তন সিইও রবি নারাইন এবং চিফ অপারেটিং অফিসার আনন্দ সুব্রহ্মণ্যন যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না-পারেন, সে জন্য লুক-আউট সার্কুলারও জারি হয়েছে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, দিল্লির ব্রোকিং সংস্থা ওপিজি সিকিউরিটিজ় ও তার প্রোমোটার সঞ্জয় গুপ্ত নিয়ম ভেঙে এনএসই-র কো-লোকেশন ব্যবস্থার সুবিধা নিয়েছিলেন। ফলে অন্য ব্রোকারদের থেকে আগে লেনদেনের জন্য লগ-ইন করতে পারতেন এবং তার সাহায্যে মুনাফা লুটতেন। এ ধরনের প্রায় ৯০% ঘটনাতেই দেখা গিয়েছে গুপ্ত প্রথম লগ-ইন করেছিলেন। ২০১০-১২ সালে হওয়া এই ঘটনায় মুম্বইয়ে এক্সচেঞ্জের কিছু কর্মী জড়িত ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের সাহায্যে এই প্রতারণা হত বলে খবর। এনএসই-র মতো এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ড আগে হওয়া লেনদেনও বিশাল তফাত গড়ে দিতে পারে। এই তদন্তেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হল চিত্রাকে। ইতিমধ্যেই ওপিজি সিকিউরিটিজ় এবং গুপ্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিবিআই।