আর্থিক বছরের শুরুটা অন্তত ভালই হল দেশের গাড়ি শিল্পের। দু’একটি বাদ দিয়ে প্রায় সবক’টি গাড়ি নির্মাতা সংস্থাই নতুন অর্থবর্ষের প্রথম মাসে আগের বারের এপ্রিলের তুলনায় বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। গত অর্থবর্ষে নানা ওঠাপড়ার সাক্ষী গাড়ি শিল্প তাই কিছুটা স্বস্তিতে।
দেশের বৃহত্তম যাত্রী-গাড়ি সংস্থা মারুতি-সুজুকির বিক্রি বেড়েছে ২৭%। তাদের বিভিন্ন মডেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে অল্টো এবং ওয়াগন-আর (প্রায় ৩৬%)।
সবচেয়ে বেশি বিক্রি বাড়িয়েছে জাপানি বহুজাতিক টয়োটা। টয়োটা কির্লোস্কর মোটরের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৬৩%। সংস্থার দাবি, নতুন গাড়ি ‘এটিওস-ক্রস’ এবং নতুন ‘করোলা-অল্টিস’ এই সাফল্যের কারিগর। অনেক সময় চালু গাড়িতেই বৈচিত্র্য ও সুবিধা জুড়ে নতুন ভাবে গাড়ি বাজারে এনে চাহিদা বাড়ানোর কৌশল নেয় সংস্থাগুলি। বিশেষত তাদের লক্ষ্য থাকে তরুণ প্রজন্ম। সেই পথে হেঁটেই নতুন গাড়ি এনেছে টয়োটা।
পিছিয়ে নেই হুন্ডাই-ও। আগেকার ‘আই-২০’ গাড়িটির ভিত্তিতে ‘এলিট আই-২০’ এবং আই-২০ অ্যাক্টিভ’ গাড়ি দু’টি বাজারে এনেছে তারা। সার্বিক বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৯.৫%। সংস্থার কর্তা রাকেশ শ্রীবাস্তব স্পষ্টই জানিয়েছেন, বাজারে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ব্যবসা বৃদ্ধির পিছনে ওই দু’টি গাড়ির অবদান অনেকটাই। জাপানি বহুজাতিক হোন্ডা কারস-এর বিক্রি বেড়েছে ১৪%। ফোর্ডের ৭%। এবং টাটা মোটরসের ৭%।
তবে আর্থিক বছরের শুরুটা ততটা ভালো হয়নি কয়েকটি সংস্থার। যেমন মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর বিক্রি বৃদ্ধির হার মাত্র এক শতাংশ। জেনারেল মোটরসে বিক্রি কমেছে প্রায় ৩২%। জেনারেল মোটরসের কর্তা পি বালেন্দ্রনের মতে, সার্বিক ভাবে ভাবে ক্রেতাদের মধ্যে গাড়ি কেনার আগ্রহ এখনও ততটা বাড়েনি। বিশেষত গ্রামে পরিস্থিতি এখনও কঠিন বলেই তাঁর দাবি। তার উপর তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলেও তাঁর আশঙ্কা। তবে কেন্দ্রের বিভিন্ন নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে চলতি অর্থবর্ষে ভাল ব্যবসা করার ব্যাপারে আশাবাদী মহীন্দ্রা গোষ্ঠীর অন্যতম কর্তা প্রবীণ শাহ।
অধিকাংশ দু’চাকার গাড়ি বিক্রিও বেড়েছে। হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার (৯%), রয়্যাল এনফিল্ড (৪৩%), টিভিএস (১৪%) ও সুজুকি মোটরসাইকেল বেড়েছে (১%)।