—প্রতীকী চিত্র।
কোভিডের প্রভাব কাটিয়ে আবাসনের চাহিদা বাড়লেও, বিভিন্ন সমীক্ষায় স্পষ্ট বিক্রি বেড়েছে প্রধানত দামি ফ্ল্যাটের। একাংশের বক্তব্য, চড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে দেশে আর্থিক বৈষম্য বেড়েছে বলেই কম দামের ফ্ল্যাট-বাড়ি বিকোচ্ছে কম। এই অবস্থায় সরকারি সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের আগে ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেটে কম দামি আবাসন ক্ষেত্রে ফের ক্রেতাদের সুদে ভর্তুকি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বরাদ্দ বাড়তে পারে অনেকটা।
কম দামি ফ্ল্যাটের বিক্রি কমার কথা মানলেও কলকাতার নির্মাতা গোষ্ঠী ইডেন রিয়েলটির কর্তাদের দাবি, এ ক্ষেত্রে বিশেষত শহরে এখনও চাহিদা যথেষ্ট। তাতে গতি আনতে সাহায্য করবে কেন্দ্রের আর্থিক সুবিধা। গত বছর স্বাধীনতা দিবসেই শহরাঞ্চলের নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের বাড়ির সাধপূরণের (যেগুলি কম দামি ফ্ল্যাট) লক্ষ্যে ঋণে ভর্তুকির বিশেষ প্রকল্প আনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি আবাসনমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী বলেন, তার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত।
মধ্যবিত্তদের জন্য ২০১৫ সালে সাধ্যের আবাসন প্রকল্প এনেছিল মোদী সরকার। কম দামি ফ্ল্যাট কিনলে সুদে ভর্তুকি মিলত। পরে গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা চালু থাকলেও, ২০১২-র মার্চে মাঝারি আয়ের মানুষদের জন্য সুদে ভর্তুকির সুবিধা বন্ধ হয়। যা শহরের আবাস যোজনা প্রকল্পটির একটি অংশ ছিল। সরকারি সূত্রে খবর, এ বার সেই সুবিধা চালু হলে কম দামি আবাসনে আর্থিক সুবিধার বরাদ্দ ১৫% বাড়তে পারে।
ইডেন রিয়েলটির চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ রাই ও এমডি আর্য সুমন্তের মতে, বড় ফ্ল্যাট কেনার আকাঙ্ক্ষা অতিমারির পরে বেড়েছে। ফলে সেগুলির জোগান বাড়ায় বেড়েছে বিক্রিও। কিন্তু ঠিক নীতি থাকলে ও নির্মাতারা সঠিক বাজার ধরতে পারলে কম দামি (২৫-৩৫ লক্ষ টাকার) ফ্ল্যাটের চাহিদা এখনও যথেষ্ট, দাবি সুমন্ত ও সংস্থাটির জয়েন্ট এমডি কুমার সাত্যকির। তাঁদের দাবি, আর্থিক সুবিধার অভাবে বিক্রি কমেছিল এগুলির। তাই জোগান কমে। ফলে কিছু চাহিদা থাকলেও অনেকে কেনার মতো ফ্ল্যাট না পাওয়ায় বিক্রি আরও
কমেছে। এখন কেন্দ্রের আশ্বাসের দিকেই তাকিয়ে শিল্প। সেই সঙ্গে তাঁদের বার্তা, যেখানে সস্তার ফ্ল্যাটের চাহিদা রয়েছে, সেখানে তার জোগানের সঠিক পরিকল্পনাতেও জোর দিতে হবে। সেই পথে হেঁটেই সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। সে ক্ষেত্রে কম সস্তায় যেখানে জমি মেলে অথবা যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে, এমন জায়গা আগে থেকে নির্বাচন কৌশল হতে পারে।