—ফাইল চিত্র
পণ্য পরিবহণে জোর দিতে দেশে আরও তিনটি পণ্য পরিবাহী করিডর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ বাজেট ঘোষণায় এ কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর মধ্যে দু’টি করিডর ছুঁয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গকে।
করোনার কারণে বন্ধ রুটিন ট্রেন চলাচল। ফলে এ বছর যাত্রী পরিবহণে লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যে সম্ভব হয়নি, তা রেল বাজেটের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনের গোড়াতেই মেনে নেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা। গত আর্থিক বছরে যেখানে যাত্রিভাড়া থেকে ৫০,৬৬৯ কোটি টাকা আয় হয়েছিল, সেখানে চলতি অর্থ বছরে যাত্রিভাড়া থেকে রেলের ভাঁড়ারে এসেছে মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা। করোনার কারণে গোড়ার দিকে পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া সম্ভব হয়নি। যদিও অগস্টের পর রেলে গত বছরের তুলনায় পণ্য পরিবহণ বাড়তে শুরু করে। আয়ও বেড়েছে ওই খাত থেকে। ফলে অপারেটিং রেশিয়ো ৯৬.৯৬ এর মধ্যে ধরে রাখা গিয়েছে (এক টাকা আয় করতে হলে রেলকে এখন ৯৬.৯৬ পয়সা খরচ করতে হয়)। আগামী বছর অপারেটিং রেশিয়ো ৯৬.১৫ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
আয় ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকায় রেলের পক্ষে এক টাকার মধ্যে সাত পয়সা পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে। আগামী অর্থ বছরে রেলের পরিকাঠামো খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ২,১৫,০৫৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে ১,০৭,৩০০ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করবে কেন্দ্র। বাকি টাকা জোগাড়ের দায়িত্ব রেলের। যে টাকার মধ্যে ৪০,৯৩২ কোটি টাকা খরচ করা হবে নতুন লাইন পাতার কাজে। ডাবলিং-এ খরচ হবে ২৬,১১৬ কোটি। আজ রেলের পক্ষ থেকে যে প্রকল্পগুলি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে হাওড়া-নিউ কোচবিহার ভায়া মালদহ লাইনের বৈদ্যুতিকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাজেটে তিনটি পণ্যবাহী করিডরের ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। ১,১১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ইস্ট কোস্ট করিডরের মাধ্যমে খড়্গপুরের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের বিজয়ওয়াড়ার সংযুক্তিকরণ হবে। অন্য দিকে ইস্ট-ওয়েস্ট সাব করিডর ছুটবে পশ্চিম ভারতের ভুসাবল-নাগপুর থেকে খড়্গপুর-ডানকুনি পর্যন্ত। যে রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১৬৭৩ কিলোমিটার। অন্য দিকে ওই করিডরের দ্বিতীয় অংশ ঝাড়খণ্ডের রাজখরসাওয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করবে কোলিয়ারি এলাকা অন্ডালকে।