কেন্দ্রের নোট বাতিল ও তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা খেয়েছিল দেশের ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের বড় অংশ। বছর দুয়েক পার হয়ে গেলেও, এখনও তার রেশ পুরোপুরি কাটেনি বলে দাবি তাদের। শুক্রবার ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল অন্তর্বর্তী বাজেটে এই শিল্পের জন্য কিছু সুযোগ সুবিধার কথা ঘোষণা করায় খুশি এই শিল্প। তাদের বক্তব্য, প্রতিশ্রুতি পূরণ হলে ক্ষতে অন্তত কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়বে।
গয়াল জানিয়েছেন, জিএসটিতে নথিভুক্ত ছোট-মাঝারি সংস্থা ৫৯ মিনিটের ঋণ প্রকল্পে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের ক্ষেত্রে সুদে ২% ভর্তুকি পাবে। সরকারি সংস্থার বরাতের ক্ষেত্রে এই শিল্পের কাছ থেকে পণ্য কেনার ভাগ বাড়িয়ে ২৫% করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৩% নেওয়া হবে মহিলা উদ্যোগপতিদের কাছে থেকে। সম্প্রতি অবশ্য তাঁদের ব্যবসায় উৎসাহ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্র।
রাজ্যে এই শিল্পের সংগঠন ফ্যাকসির প্রেসিডেন্ট হিতাংশু গুহ ও ফসমির প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য প্রস্তাবগুলিকে স্বাগত জানিয়েছেন। হিতাংশুবাবু বলেন, ‘‘যদি এটুকু অন্তত হয়, তা হলেও ভাল।’’ বিশ্বনাথবাবু বলেছেন, ‘‘এই পদক্ষেপ ছোট শিল্পকে সুবিধা দেবে। তবে গত বছর এ ধরনের সুবিধা মিললে আরও ভাল হত।’’
এই শিল্পের আর এক সংগঠন ফিসমের সেক্রেটারি জেনারেল অনিল ভরদ্বাজের মতে, অন্তর্বর্তী বাজেটে শিল্পমহল প্রত্যক্ষ সুবিধার চেয়ে পরোক্ষ সুবিধাই বেশি পেয়েছে। যেমন শর্ত সাপেক্ষে ডিলারদের জিএসটির রিটার্ন সরলীকরণের সুবিধা ইতিবাচক। তেমনই করছাড় বা আবাসনে ক্ষেত্রের সুবিধা সার্বিক চাহিদা বাড়াবে। নোট বাতিলের পরে যা ধাক্কা খেয়েছিল।