ফাইল চিত্র।
পর্যাপ্ত যাত্রী না পেয়ে মাত্র ছ’মাস চালানোর পরে কলকাতা থেকে উড়ান তুলে নিল বুদ্ধ এয়ার। নেপালের কাঠমান্ডু থেকে তারা কলকাতায় উড়ান চালাত।
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের কথায়, ‘‘যে ভাবে গত কয়েক বছরে পর্যটন মানচিত্রে ব্যাঙ্কক, পাটায়া, সিঙ্গাপুর, কুয়ালা লামপুর, গুয়াংজাও, বালি জায়গা করে নিয়েছে, সে ভাবে জায়গা করতে পারেনি কাঠমান্ডু। নেপাল সরকারের তরফে পর্যটক টানার আগ্রাসী প্রয়াস নেই। কয়েক মাস ধরে কলকাতা থেকে সরাসরি ভিয়েতনাম, চিন-সহ অন্য পার্শ্ববর্তী দেশের সরাসরি উড়ান চালানোর পরে কাঠমান্ডুর যাত্রী কমতে শুরু করে।’’
ট্র্যাভেল এজেন্ট ফেডারেশনের পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবির কথায়, ‘‘কলকাতা থেকে কাঠমান্ডু যাতায়াতের ভাড়া লাগত প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। ওই একই টাকায় কলকাতা থেকে এখন কুয়ালা লামপুর, ব্যাঙ্কক ঘুরে আসা যাচ্ছে। বাঙালি পর্যটকদের কাছে তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া অনেক বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। সে সব ছেড়ে কাঠমান্ডু যেতে রাজি হচ্ছেন না পর্যটকেরা।’’
নেপালের বেসরকারি উড়ান সংস্থা বুদ্ধ এয়ার মঙ্গল ও শুক্রবার কলকাতা থেকে ছোট বম্বার্ডিয়ার বিমান চালাত। গত ২৯ নভেম্বর শেষ উড়ান চালিয়েছে তারা। তার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরিষেবা। এখন শুধু সপ্তাহে চার দিন কলকাতা থেকে কাঠমান্ডুর সরাসরি উড়ান রইল এয়ার ইন্ডিয়ার। বুদ্ধ এয়ারের তরফে কলকাতায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।