—প্রতীকী ছবি।
বছর দশেক আগে মাত্র হাজার টাকা লগ্নি। আর তাতেই কোটিপতি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বহু মানুষ। স্বপ্ন নয়, বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে বিটকয়েনের বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে। ২০০৯ সালে দুনিয়া জুড়ে চালু হয় এই ডিজিটাল মুদ্রা। বর্তমানে (পড়ুন ২০২৪ সাল) বিশ্ব বাজারে যার মূল্য প্রায় এক লক্ষ ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে।
বিটকয়েন বাজারে আসার পর প্রথম দিকে এর তেমন কোনও দর ছিল না। ২০১০ সালে প্রথমবার লেনদেনে ব্যবহৃত হয় এই ডিজিটাল মুদ্রা। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার ভগ্নাংশে পাওয়া যেতে একটি বিটকয়েন। অর্থাৎ ০.০৮ ডলার ছিল ডিজিটাল মুদ্রাটির বাজার মূল্য।
২০১০ সালে ভারতীয় মুদ্রায় একটি বিটকয়েন কিনতে হলে ৩.৩৮ টাকা খরচ হত। কারণ ওই সময়ে এক ডলারের গড় দাম ছিল ৪২ টাকা। ফলে বিটকয়েনের জন্য কেউ হাজার টাকা লগ্নি করলে (২৯৫.৮৫টি ডিজিটাল মুদ্রা (১০০০ টাকা/৩.৩৮ টাকা = ২৯৫.৮৫ বিটকয়েন) হাতে পেয়েছিলেন তিনি।
চলতি বছরের নভেম্বরে বিশ্ব বাজারে বিটকয়েনের গড় মূল্যা ৯৮ হাজার ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। অন্য দিকে ডলারের নিরিখে ভারতীয় টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৮৪.৪৫। ফলে অঙ্কের হিসেবে একটি বিটকয়েনের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ৮২ লক্ষ ৭৬ হাজার ১০০ টাকায় (৯৮,০০০০ ডলার X ৮৪.৪৫ = ৮২,৭৬,১০০ টাকা) গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফলে মাত্র ১০ বছর আগে যিনি ২৯৫.৮৫টি বিটকয়েন কিনেছিলেন, বর্তমানে তিনি ওই সামান্য লগ্নিতে কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। তাঁর কাছে থাকা বিটকয়েনের মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ২ হাজার ৪৪৭ কোটি ৩২ লক্ষ ৭৮ হাজার ১৮৫ টাকা (৮২,৭৬,১০০ টাকা X ২৯৫.৮৫ বিটকয়েন = ২৪৪৭, ৩২,৭৮,১৮৫ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মাত্র দু’টি পিৎজা কিনতে খরচ হয়েছিল ১০ হাজার বিটকয়েন। যা দেখে বিশ্বের অনেক আর্থিক বিশ্লেষকই মুচকি হেসেছিলেন। কিন্তু মাত্র সাত বছরের মধ্যেই ক্রিপ্টো মুদ্রাটির মূল্য নতুন মাইলফলক স্পর্শ করে। ২০১৭ সালে একটি বিটকয়েনের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ডলার।
২০২০-২১ আর্থিক বছরে আমেরিকার ধনকুবের শিল্পপতি ইলন মাস্কের ব্যাটারি চালিত গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা ‘টেসলা’ বিটকয়েনে লগ্নি করলে ক্রিপ্টো মুদ্রাটির দর হু হু করে বাড়তে শুরু করে। গত বছর (পড়ুন ২০২৩) আমেরিকার শেয়ার বাজার বিটকয়েনকে স্বীকৃতি দেওয়ায় এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।