চত্বর: রাজ্যের বাটানগর কারখানা। —ফাইল চিত্র।
ফরিদাবাদের জুতো কারখানা গুটিয়ে নিল বাটা ইন্ডিয়া। এ বার থেকে ওই কারখানার উৎপাদন সরিয়ে আনা হবে পশ্চিমবঙ্গের বাটানগর কারখানায়। কারখানার ১৮০ জন কর্মীকেই স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাটা কর্তৃপক্ষ। এ জন্য খরচ হবে ২১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
ফরিদাবাদের কারখানাটি বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে বাটানগর-সহ বাটা ইন্ডিয়ার মোট ৪টি কারখানা চালু থাকবে বলে বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান উদয় খন্না।
সংস্থার দাবি, ফরিদাবাদে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছিল। তা ছাড়া সেখানে যে-ধরনের জুতো তৈরি হত, তার চাহিদাও এখন কমে গিয়েছে। সেই কারণেই এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে খন্না জানান।
ফরিদাবাদে হাওয়াই চপ্পলের মতো রবারের চটি এবং ক্যানভাসের জুতো তৈরি হত। খন্না বলেন, ‘‘বাটানগর কারখানায় ওই সব জুতো তৈরির পরিকাঠামো রয়েছে। তাই সেখানেই উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’
এ দিকে কম দামি জুতোর বাজারে দখল বাড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাটা ইন্ডিয়া। বাটার দক্ষিণ এশীয় ব্যবসার দায়িত্বে থাকা ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব গোপালকৃষ্ণন বলেন, ‘‘মোট জুতোর ৫০ শতাংশেরই দাম ৫০০ টাকার মধ্যে রাখার পরিকল্পনা করেছি।’’ এর অন্যতম কারণ জিএসটি। এই নতুন জমানায় ৫০০ টাকা বা তার কম দামি জুতোয় কর ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। তার বেশি দাম হলে ১৮ শতাংশ।