চন্দ্রশেখর ঘোষ।
ভারতের কয়েকটি রাজ্য ‘স্টার্ট-আপ’ সংস্থার দৌড়ে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বহুযোজন এগিয়ে, এমন দাবি অহরহ ওঠে। সে কথা মানতে নারাজ এক সময়ে এ ভাবেই ব্যবসার জগতে পা রাখা বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা-কর্ণধার চন্দ্রশেখর ঘোষ। রাজারহাটে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার আয়োজিত শিল্প মেলায় বৃহস্পতিবারতাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ এ ক্ষেত্রে প্রথম ১০টি রাজ্যের অন্যতম। বাজারে এ রাজ্যের স্টার্ট-আপগুলির উপস্থিতি হয়তো ততটা নজরে পড়ে না।
এ দিন মেলায় আলোচনার বিষয় ছিল দক্ষতা বৃদ্ধি, স্টার্ট-আপ ইত্যাদি। রাজ্যের কারিগরী শিক্ষামন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন শিল্পমহলকে রাজ্যের তরফে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন। স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলিকে বেড়ে ওঠার পথে সাহায্য করতে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) সঙ্গে মউ সই করে বণিকসভাটি।
তার আগে স্টার্ট-আপ নিয়ে এক আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্ণধার। তাঁর দাবি, রাজ্যে নতুন উদ্যোগের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু তারা ততটা নজর কাড়তে পারছে না। সাধারণত এই সব সংস্থা কিছুটা বেড়ে না-উঠলে সে ভাবে চোখে পড়ে না। স্টার্ট-আপগুলি এই ‘দুর্বলতা’ কাটাতে পারলে রাজ্য এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে, এমন চর্চার অবকাশ থাকবে না।
পাশাপাশি নতুন উদ্যোগপতিদের জন্য তাঁর পরামর্শ, ব্যবসার মডেল ঠিক ভাবে তৈরি করতে হবে। বাজারে নিজেদের আস্থা মজবুত করতে হবে। তা না-হলে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান সেই প্রকল্পে পুঁজি জোগাতে ভরসা পাবে না। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ বা পুঁজি জোগাড় করা নিয়ে স্টার্ট-আপ সংস্থা ভোগান্তির শিকার হয় বলে অভিযোগ উঠলেও চন্দ্রশেখরের বক্তব্য, হিসাবের খাতা ভাল ভাবে তৈরি থাকুক। হাল না-ছেড়ে আর্থিক ক্ষেত্রের ভরসা কুড়োতে হবে। তাঁর দাবি, ভরসাযোগ্য প্রকল্প হলে ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে প্রস্তুত। কারণ সেটাই তাদের ব্যবসা।