বিক্রি বেড়েছে গাড়ির। — ফাইল চিত্র।
আশায় বুক বেঁধে উৎসবের মরসুম শুরু করেছিল গাড়ি শিল্প। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আশা পূরণের ইঙ্গিত দিয়েছিল নবরাত্রির ব্যবসা। শেষ পর্যন্ত নবরাত্রি থেকে টানা ৪২ দিন ধরে ঢালাও বিক্রি কিছুটা স্বস্তি ফেরাল। এই সময়ে শো-রুম থেকে গাড়ি বিক্রির খতিয়ানে বছর চারেকের কঠিন সময়ের মধ্যে এ বারই প্রথম ভাল ব্যবসার মুখ দেখেছে তারা, দাবি ডিলার সংস্থাগুলির। প্রথাগত ভাবে এই সময়টুকুকে উৎসবের মরসুম হিসাবে ধরে গাড়ি নির্মাতা এবং বিক্রেতারা। ডিলারদের সংগঠন ফাডা সোমবার জানিয়েছে, সব ধরনের গাড়ি বিক্রিই ছাপিয়ে গিয়েছে কোভিডের আগের বছরকে।
পরিসংখ্যান বলছে, মূলত এই ৪২ দিনের বিক্রিবাটার উপরে ভর করে অক্টোবরের গাড়ি ব্যবসা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। তবে ফাডার ধারণা, ক্রেতাদের চাহিদা সাময়িক ভাবে তাদের স্বস্তি দিলেও ব্যবসার পুনরুজ্জীবনে আগামী কয়েক মাসও বিক্রির এই রেশ বজায় থাকা জরুরি।
দেশের জিডিপিতে উৎপাদনমুখী শিল্পের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। আর এই শিল্পের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে গাড়ি। বিপুল কর্মসংস্থানের সূত্রও এটি। কিন্তু অতিমারিতে ধাক্কা খায় ব্যবসা। পরে যাত্রিবাহী গাড়ির বিক্রি বাড়লেও, চাহিদা ছিল মূলত দামি গাড়ির। গ্রামীণ অর্থনীতি মজবুত না হওয়ায় উৎসবের মরসুমের মুখেও নড়বড়ে অবস্থায় ছিল বিশেষত দু’চাকার গাড়ি বাজার।
ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়া জানান, এ বছর উৎসবের মরসুমে যাত্রিবাহী, দু’চাকা, তিন চাকা বাণিজ্যিক— সবগুলির বিক্রিই বেড়েছে। সার্বিক ভাবে বিক্রি ২০১৯ সালের চেয়ে প্রায় ৬% বেশি। তবে ফাডার কর্তাদের সতর্কবার্তা, বছর শেষে চাহিদা কিছুটা কমতে পারে। গ্রামীণ চাহিদা নিয়েও সংশয় থাকছে।