প্রতীকী ছবি।
আগামী বছর দেশের অধিকাংশ সার্কলে তাদের ৮০০ মেগাহার্ৎজ় ব্যান্ডের স্পেকট্রামের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হতে চলায়, দ্রুত নতুন স্পেকট্রাম নিলাম করতে আর্জি জানিয়েছিল রিলায়্যান্স জিয়ো। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আগামী মার্চে তাতে সায় দিয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ছ’টি ব্যান্ডের ২২৫১ মেগাহার্ৎজ় স্পেকট্রাম নিলাম হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের সংশয়, টেলিকম শিল্প যে রকম আর্থিক সঙ্কটে, তাতে ক্রেতা পাবে তো কেন্দ্র? চার বছর আগের মতোই নিলাম মুখ থুবড়ে পড়বে না তো?
সূত্রের খবর, করোনায় কেন্দ্রের আয় কমেছে বিপুল। রাজকোষ ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। এই প্রেক্ষিতে রোজগার বাড়াতে মরিয়া কেন্দ্র মার্চের মধ্যেই স্পেকট্রাম নিলাম করতে চাইছে। ন্যূনতম দরে তা বিক্রি হলে কেন্দ্রের ঘরে ৩.৯২ লক্ষ কোটি টাকা আসবে বলে আশা। যদিও এর আগে ন্যূনতম দর নিয়ে যে আলোচনা হয়েছিল, তা বেশ চড়া বলেই দাবি করেছিল টেলি শিল্পের একাংশ। গত মে মাসে টেলিকম দফতরের ডিজিটাল কমিশন ৫.২২ লক্ষ কোটি টাকার স্পেকট্রাম নিলামে সায় দেয়। আজ প্রসাদ জানান, ৭০০, ৮০০, ৯০০, ২১০০, ২৩০০ ও ২৫০০ মেগাহার্ৎজ় ব্যান্ডের নিলাম হবে। ২০১৬ সালের শর্ত থাকবে। শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। তবে কেন্দ্র আপাতত ৫জি স্পেকট্রাম নিলামের পথে হাঁটছে না।
২০১৬ সালে নিলাম থেকে ৫.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখলেও, এসেছিল ৬৫,৭৮৯ কোটি। চড়া ন্যূনতম দরের জন্য বিক্রি হয়নি ৭০০ ও ৯০০ মেগাহার্ৎজ। ফের তার পুনরাবৃত্তি হবে না তো, উঠছে প্রশ্ন।
জিয়ো যে ৪জি পরিষেবা দেয় তার জন্য ৮০০ মেগাহার্জ়ের স্পেকট্রাম-ই সবচেয়ে ভাল। আপাতত রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্সের থেকে ভাগাভাগি ও লেনদেনের চুক্তিতে তা ব্যবহার করছে সংস্থা। সংশ্লিষ্ট মহলের খবর, ১৮টি সার্কলে সেগুলির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুলাই-অগস্টে। দ্রুত নিলামের জন্য সেপ্টেম্বরে তাই টেলিকম দফতরকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানায় জিয়ো। তাদের ইঙ্গিত ছিল, প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বেসরকারি সংস্থার হাতে যথেষ্ট স্পেকট্রাম থাকায় তারা নিলামে ততটা আগ্রহী নয়। অথচ এতে দেরি হলে সরকার যেমন রাজস্ব হারাবে, তেমনই লগ্নিকারীদের আস্থাও ধাক্কা খাবে। আটকে যাবে ৪জি-র উন্নয়ন।
টেলি সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই-এর ডিজি এস পি কোছরের যদিও দাবি, কেন্দ্র স্পেকট্রামের ন্যূনতম দর কমালে পরিকাঠামো বাড়াতে সংস্থাগুলির হাতে বাড়তি পুঁজি থাকত। তার উপরে চড়া দরের জন্যই যেহেতু আগের নিলামে অধিকাংশ বিক্রি হয়নি।