রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনও। প্রয়োজনীয় জনমত ও রাজনৈতিক ঐকমত্য এখনও অধরা। কিন্তু তার মধ্যেও আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকারি মালিকানা ৪৯ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র।
বুধবার নয়াদিল্লিতে এক সভায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘‘কিছু ব্যাঙ্কের আর্থিক ভিত পোক্ত করতে আমরা মরিয়া। নইলে তাদের পক্ষে কঠিন হবে তীব্র প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকা...যেমন আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকারি অংশীদারি ৪৯ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা ভাবা হচ্ছে।’’
পাহাড়প্রমাণ অনুৎপাদক সম্পদের ভারে ধুঁকতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ওই সমস্যা থেকে বার করে ঘুরিয়ে দাঁড় করানো যে কেন্দ্রের অন্যতম প্রথম লক্ষ্য, এ দিন তা বারবার বলেছেন জেটলি। উল্লেখ করেছেন দেশের আর্থিক উন্নয়নে তাদের অবদানের কথা। আর ওই সমস্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সংস্কারের রাস্তায় কিছুটা এগোনো গিয়েছে। যেমন, সিদ্ধান্ত হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সরকারি মালিকানা ৫২ শতাংশে নামিয়ে আনার। কিন্তু সার্বিক ভাবে বেসরকারিকরণের উপযুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়নি এখনও। তৈরি করা যায়নি জনমতও।
উল্লেখ্য, ঋণ খেলাপের সমস্যা নিয়ে অনেক দিনই খাবি খাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। সঙ্কট কতখানি তীব্র, তা বোঝাতে গিয়ে কিছু দিন আগেই জেটলি বলেন, ‘‘গত বছর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মোট কার্যকরী মুনাফা ছিল ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটিরও বেশি। কিন্তু অনুৎপাদক সম্পদ খাতে টাকা তুলে রাখতে গিয়ে পুঞ্জীভূত নিট লোকসান দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার কোটি।’’ ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার ধার মুছে ফেলতে হয়েছে হিসেবের খাতা থেকে। সময়ে শোধ না-হওয়া ধার পৌঁছেছে ৮ লক্ষ কোটিতে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সমস্যা যুঝতে প্রয়োজনে চলতি অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্দ (২৫ হাজার কোটি টাকা) ছাপিয়ে মূলধন জোগাতে তাঁরা তৈরি।