—প্রতীকী চিত্র।
ম্যাকডোনাল্ডস-এর পরে একই রাস্তায় হাঁটল আর এক ‘ফাস্ট ফুড চেন’ সাবওয়ে-ও।
সাম্প্রতিক কালে কাঁচা লঙ্কার পাশাপাশি খাবারের পাতে অন্যতম জনপ্রিয় আনাজ টোম্যাটোর দামও বিপুল চড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে সপ্তাহ দুয়েক আগে ম্যাকডোনাল্ডস ইন্ডিয়া-র উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা (ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি) জানায়, ওই অঞ্চলে তাদের বেশিরভাগ দোকান খাবার তৈরিতে ওই আনাজটির ব্যবহার সাময়িক বন্ধ রেখেছে। এ বার সাবওয়ের কিছু শাখাতেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। তাদের স্যান্ডউইচ, সালাডের মতো বিভিন্ন খাবারে আপাতত টোম্যাটোর দেখা মিলছে না। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চড়া দামই এর কারণ। তবে ম্যাকডোনাল্ডসের মতোই সাবওয়ের টোম্যাটোর ব্যবহার বন্ধ করা বিপণিগুলির দাবি— দাম নয়, বাজারে ভাল মানের টোম্যাটো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এই সিদ্ধান্ত।
সাবওয়ের ঠিক কতগুলি বিপণিতে টোম্যাটো বাদ পড়ছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিভিন্ন সূত্রের খবর, এ দিন পর্যন্ত দিল্লিতে দু’টি এবং উত্তরপ্রদেশ, চেন্নাইয়ের একটি করে বিপণি সেই পথে হেঁটেছে। দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালের এক বিপণিতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা সেরা উপাদান দিয়ে সেরা খাবার পরিবেশন করতে দায়বদ্ধ। কিন্তু তারা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও তাদের বিশ্বমানের গুণগত পরীক্ষায় সফল যথেষ্ট সংখ্যক টোম্যাটোর জোগান পাচ্ছে না। তাই আপাতত তারা টোম্যাটো ছাড়াই খাবার পরিবেশন করতে বাধ্য হচ্ছে। তবে তাদের আশ্বাস, টোম্যাটোর জোগান ফেরাতে তারা সক্রিয়।
মাসখানেক আগে টোম্যাটোর দাম আকাশছোঁয়া জায়গায় পৌঁছয়। উত্তর ভারতে তা প্রায় ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কলকাতাতেও রকেটের গতিতেই ছুটেছে কৃষিপণ্যটির দাম। অনেক ছোটখাটো হোটেল-রেস্তরাঁর খাবার থেকে হয় সেটি বাদ পড়েছে বা তার পরিমাণ কমেছে বলে খবর। কলকাতার বাজারে এখন টোম্যাটোর দাম কেজি প্রতি ১২০-১৪০ টাকা। সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৫০- ১৬০ টাকা। দিল্লিতে এ দিন তা ছিল ১৬৮ টাকা। এক সময়ে সেখানে সেই দর উঠেছিল ২৪০ টাকায়।